ক্যাটাগরি

‘এককালীন এক্সিট’ সুবিধা আবার চাইল এফবিসিসিআই

মঙ্গলবার গভর্নরের কাছে বেশ কয়েকটি
দাবি জানানোর কথা সাংবাদিকদের জানান ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে
গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ
ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাসের।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম বলেন, “কোভিড-১৯ ও ইউক্রেইন যুদ্ধে পুরো বিশ্ব অর্থনীতি রেসেশনের (মন্দা) মধ্যে
দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজনেসটাও রেসেশনের দিকে যাচ্ছে।

“এজন্য ক্রেতারা ডিসকাউন্টের কথা বলছে, তারা রপ্তানি
বিল দিতে দেরি করার কথা বলছে, ক্রয়াদেশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিলম্বিত করছে। আমরা গত
ডিসেম্বরই বলেছিলাম আমাদের ঋণটা ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যাতে খেলাপি না হয়। সেই
কথাটিই বলেছি।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী
পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ঋণ খেলাপিদের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এককালীন
এক্সিট সুবিধা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন এফবিসিসিআইয়ের
পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে পুনরায় সুবিধাটি দেওয়ার। বাংলাদেশ ব্যাংক এফবিবিসিআইয়ের
দাবিগুলো পর্যালোচনা করে দেখে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।”

জুন মাসেই প্রণোদনা বাবদ নেওয়া কিছু
ঋণ ও খেলাপি না করার সুবিধার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর পূর্বেই অর্থ পরিশোধ না করলেও খেলাপি
না করার সুবিধার মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত করার দাবি উঠল।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, “শিল্পে ঋণের জন্য এক সময়ে শিল্প ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক থেকে দীর্ঘ মেয়াদে
ঋণ দিত এখন তা নেই। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দাবি জানিয়েছি ব্যাংকগুলোকে ঋণের ২০
শতাংশ শিল্পে দীর্ঘ মেয়াদে দেওয়ার জন্য। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন
করেও দিতে পারে।”

বিদ্যমান এসএমই খাতের সংজ্ঞায় পরিবর্তন
এনে খাতভিত্তিক শিল্পের জন্য নির্ধারিত ঋণ মঞ্জুরির পরিমাণ বৃদ্ধি করে পুনঃনির্ধারণ
করার দাবিও করে এফবিসিসিআই।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র
সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এসএমই প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা শিল্প মন্ক্রণালয় নির্ধারণ
করে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নেই।”

ব্যবসায়ীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে
রয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এর পরিমাণ বিদ্যমান ৭ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারে
উন্নীত করা। রেমিটেন্সে প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।