১৯৯১ সালে নিজস্ব পণ্যে ব্যবহারযোগ্য
প্যানেল উৎপাদনে ‘স্যামসাং ডিসপ্লে’ প্রতিষ্ঠা করেছিল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স। পরবর্তীতে
কেবল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সই নয়, বরং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এলসিডি প্যানেলের শীর্ষ
সরবরাহক হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ‘বিওই’-এর
মতো অন্যান্য সরবরাহকের উত্থানে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে স্যামসাং ডিসপ্লে’র
ব্যবসা। এক সময়ে এলসিডি প্যানেলের সরবরাহকারী হিসেবে একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও, বর্তমানে
বাজারের স্রেফ দুই শতাংশ স্যামসাং ডিসপ্লের দখলে।
আর, আগামী মাসেই স্যামসাং এলসিডি
প্যানেল উৎপাদন বন্ধ করতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য কোরিয়া
টাইমস’।
কোরিয়া টাইমসের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আর্স
টেকনিকা জানিয়েছে, মহামারী চলাকালীন কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা বাড়ায় উৎপাদন
বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থিগিত করেছিল স্যামসাং। মহামারীর প্রকোপ কমার সঙ্গে ক্রেতাদের মধ্যে
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদাও কমেছে। এলসিডি প্যানেল ব্যবসা থেকে ভবিষ্যৎ আয় নিয়েও আশাবাদী
নয় প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে, টিভি ও মনিটরের ভবিষ্যৎ
হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ‘কিউডি-ওলেড’-এর মতো উদীয়মান প্রযুক্তি। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্নবিদ্ধ
হচ্ছে স্যামসাং ডিসপ্লের এলসিডি উৎপাদন চালু রাখার যৌক্তিকতা।
স্যামসাং ডিসপ্লে এখন থেকে ‘ওলেড’
এবং ‘কোয়ান্টাম ডট’-এ বেশি জোর দেবে। এলসিডি প্যানেলের উৎপাদন কর্মীরা এখন কোয়ান্টাম
ডট-এ যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে কোরিয়া টাইমস।
তবে, এ প্রসঙ্গে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক
ঘোষণা দেয়নি স্যামসাং। ঘোষণা না এলেও, স্যামসাংয়ের এলসিডি ব্যবসার সুদিন যে শেষ, সে
বিষয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।