পৌরসভার কাজি হরমুজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বিকালে এই ধসের পর নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া সুলতানা বলেন, “শুরু থেকে কাজের মান খুব খারাপ। ওয়াশ রুমের ফলস ছাদে রডের পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
“১ নম্বর ইট ও উন্নতমানের রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও ৩ নম্বর ইট ও নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকবার বলার পরও ঠিকাদার বিষয়টি আমলে নেননি। সিমেন্ট কম আর বালু বেশি দেওয়া হচ্ছে। তিন ইঞ্চি ঢালাইয়ের জায়গায় দেড় ইঞ্চি ঢালাই দেওয়ায় এটি ভেঙে পড়েছে।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্বাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহ আলম স্বপন দাবি করেন, তিনি নির্ধারিত মান অনুযায়ী সব সামগ্রী ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি শ্রমিকদের অবহেলায় একটি ফলস ছাদ ভেঙে পড়ে বলে তার দাবি।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসান পারভেজ সব ফলস ছাদ ভেঙে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রকৌশলী বলেন, “সম্প্রতি নিচতলার একটি ফলস ছাদ নির্মাণের দুই দিন পর ভেঙে পড়ে। ফলে পুরো ভবনের সব ফলস ছাদ ভেঙে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়।”