ক্যাটাগরি

কোভিড: এক মাসে শনাক্ত নেমেছে হাজারের নিচে

মে মাসের ৩১
দিনে সারা
দেশে মোট
৮১৬ জন
কোভিড রোগী
শনাক্ত হয়েছে,
যা মহামারী
শুরুর পর
এক মাসের
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

আর সব মিলিয়ে
৪ জনের
মৃত্যুর খবর
এসেছে মে
মাসে।
মহামারীর ২৭
মাসের মধ্যে
আর কোনো
মাসে মৃত্যুর
সংখ্যা ৫
জনের নিচে
নামেনি। 

২০২০ সালের মার্চে
দেশে মহামারী শুরুর পর ওই মাসে শনাক্ত
হয়েছিল ২৫
রোগী, যা
এ পর্যন্ত
এক মাসের
সর্বনিম্ন।  আর ওই বছর
মার্চে এবং
চলতি বছর
এপ্রিলে এ
ভাইরাসে মৃত্য
হয়েছে পাঁচজনের। মাঝে আর কোনো মাসেই
মৃত্যুর সংখ্যা
৮৫ জনের
কম ছিল
না।

মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের
দাপটের সময়
২০২১ সালের
জুলাই মাসে
৬১৮২ জনের
মৃত্যু হয়,
যা এক
মাসের সর্বোচ্চ। ওই মাসেই সারা দেশে
সর্বোচ্চ ৩
লাখ ৩৬
হাজার ২২৬
জন কোভিড
রোগী শনাক্ত
হয়।

এ বছর এপ্রিলে
সারা দেশে
১ হাজার
১১৪ জন
রোগী শনাক্ত
হয়েছিল।
সে হিসাবে
মে মাসে
শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা কমেছে
২৯৮ জন
বা ২৭
শতাশ। 

পুরো এপ্রিল মাস
জুড়ে করোনাভাইরাস
আক্রান্ত হয়ে
৫ জনের
মৃত্যু হয়েছিল। এপ্রিল তার চেয়ে ১
জন বা
২০ শতাংশ
কম মৃত্যু
হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
বুধবার সকাল
পর্যন্ত এক
দিনে সোয়া
৫ হাজার
৩৮০ জনের
নমুনা পরীক্ষা
করে এই
৩৪ জন
নতুন রোগী
শনাক্ত হয়েছে।

তাতে নমুনা পরীক্ষার
বিপরীতে দৈনিক
শনাক্তের হার
দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার
শূন্য দশমিক
৬১ শতাংশ
ছিল।

মহামারীর মধ্যে সার্বিক
শনাক্তের হার
দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১
দশমিক ৪৯
শতাংশ।

গত এক দিনে
কারও মৃত্যুর
খবর আসেনি। এক সপ্তাহ পর সোমবার
একজনের মৃত্যুর
কথা জানিয়েছিল
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায়
সুস্থ হয়ে
উঠেছেন আরও
৩৫৭ জন
কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ
৩ হাজার
১১৭ জন
সেরে উঠলেন।

মহামারীর ২৭ মাসে
দেশে সব
মিলিয়ে মোট
১৯ লাখ
৫৩ হাজার
৫৪১ জন
কোভিড রোগী
শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে
মোট ২৯
হাজার ১৩১
জনের।

গত এক দিনে
শনাক্ত রোগীদের
মধ্যে ঢাকা
মহানগর ও
জেলার ২৪
জন বাদে
ফরিদপুর ও
ময়মনসিংহের ২ জন করে মোট
৪ জন,
গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী, নওগাঁ
ও সিলেটের
১ জন
করে শনাক্ত
হয়েছে।

মে মাসে যে
৪ জনের
মৃত্যু হয়েছে,
তারা সবাই
করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছিলেন। তাদের তিনজন দুই ডোজ
এবং একজন
শুধু প্রথম
ডোজ পেয়েছিলেন। 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম
সংক্রমণ ধরা
পড়েছিল ২০২০
সালের ৮
মার্চ।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের
ব্যাপক বিস্তারের
মধ্যে গত
বছরের ২৮
জুলাই দেশে
রেকর্ড ১৬
হাজার ২৩০
জন নতুন
রোগী শনাক্ত
হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের
১০ দিন
পর ২০২০
সালের ১৮
মার্চ দেশে
প্রথম মৃত্যুর
তথ্য নিশ্চিত
করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর।
২০২১ সালের
৫ অগাস্ট
ও ১০
অগাস্ট ২৬৪
জন করে
মৃত্যুর খবর
আসে, যা
মহামারীর মধ্যে
এক দিনের
সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত
হয়ে এ
পর্যন্ত মারা
গেছে ৬২
লাখ ৯৩
হাজারের বেশি
মানুষ।
বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি।