বাংদুংয়ে বুধবার প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। এ নিয়ে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে সাত ম্যাচে দ্বিতীয়বার ড্র করল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
শৃঙ্খলা ভাঙার কারণে দল থেকে নাবীব নেওয়াজ জীবন বাদ পড়ায় আক্রমণভাগে জায়গা পান সাজ্জাদ হোসেনের। সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই ফরোয়ার্ড অভিষেকে পারেননি প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে। অবশ্য শুরু থেকে রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকা দল সাজ্জাদকে পর্যাপ্ত বলের জোগান দিতেও পারেনি।
মাঠে আধিপত্য করা ইন্দোনেশিয়ার সব আক্রমণ মুখ থুবড়ে পড়ে গোলরক্ষক জিকোর সামনে। একাদশ মিনিটে আসনাওয়ি ম্যাংকুলামের থ্রো ইনে ফাসরুদ্দিনের হেড ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকান জিকো।
দুই মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে সাদ্দিল রামদানির বাঁ পায়ের জোরাল শটও ফেরান জিকো। এরপর ইন্দোনেশিয়ার একটি আক্রমণ ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
২১তম মিনিটে সতীর্থের রক্ষণচেরা পাস ধরে বক্সে ঢুকে শট নেন স্টিফানো জানতজি। জিকোর গায়ে লেগে বল যায় বাইরে। এর চার মিনিট পর বাংলাদেশ প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণ করে। তবে বক্সের বাইরে থেকে রাকিব হোসেনের জোরাল শট গোলকিপারের গ্লাভসে জমে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে আধিপত্য করে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া (১৫৯তম)। ৪৬তম মিনিটে রাসমত ইরিয়ান্তোর ক্রসে বক্সের ভেতরে ফাঁকায় ইরফান জায়া বল রিসিভ করে লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। ৫৪তম মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিকে সাজ্জাদের নেওয়া শট প্রতিহত হয়।
১০ মিনিট পর সাজ্জাদকে তুলে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে নামান কোচ। এর একটু পরই স্টিফেনোর হেড জিকো ফিস্ট করে প্রতিহত করেন। ৭৩ মিনিটে ইন্দোনেশিয়া একবার বল জালে জড়ালেও অফসাইডের বাঁশি বাজে।
গোলের জন্য মরিয়া ইন্দোনেশিয়াকে আবার হতাশ হতে হয় ৮৭তম মিনিটে। সতীর্থের ফ্রি কিকে দিমাস দ্রাজাদের হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। বাকিটা সময়ও একইভাবে স্বাগতিকদের আটকে রেখে স্বস্তির ড্রয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
৮ জুন থেকে এশিয়ান কাপের বাছাই মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে শুরু হবে। এ উপলক্ষে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের পরখ করে নিতে চেয়েছিলেন কাবরেরা। জিকোর দৃঢ়তার পাশাপাশি রক্ষণবাগের পারফরম্যান্সেও নিশ্চয় খুশি হবেন স্প্যানিশ কোচ।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তিন প্রতিপক্ষই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে এগিয়ে; বাহরাইন (৮৯), তুর্কমেনিস্তান (১৩৪) ও স্বাগতিক মালয়েশিয়া (১৫৪)। ম্যাচগুলোর আগে আক্রমণভাগ নিয়েও ভাবতে হবে কাবরেরাকে।