বুধবার সরকারি ক্রয়
সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ)
এলএনজি ২৪ দশমিক ২৫ ডলারে কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে প্রতি ইউনিট
২৪ দশমিক ২৫ ডলার মূল্যে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি মোট ৮৩৮ কোটি ৯১ লাখ ৮০
হাজার ৮০০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এবার গানভর সিঙ্গাপুরের
কাছ থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এর আগের দুই দফায় সিঙ্গাপুরের আরেক কোম্পানি
ভিটল এনার্জির কাছ থেকে কেনা হয়েছিল।
দেশে গ্যাসের চাহিদা বাড়তে
থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কেনার এক বা একাধিক
প্রস্তাব ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তোলা হচ্ছে। চাহিদা বিবেচনায় তা অনুমোদনও
দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার কমিটির বৈঠক শেষে
অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর বলেন, “এবারও এলএনজির দাম কিছুটা কমেছে।
আগের লটে প্রতি ইউনিটের দাম ছিল ২৫ দশমিক ৭৫ ডলার। এবার সেটা কমে গিয়ে হল ২৪ দশমিক
২৫ ডলার।”
কোভিড মহামারীর মধ্যে
গত এক বছর ধরে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বাড়ছে। এর আগে প্রতি ইউনিট ৭ থেকে ৯ ডলারেও
তরল এ গ্যাস কিনতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম কমে
গিয়ে ৪ ডলারেও নেমেছিল।
এলএনজি ও সার কেনায় আরও কিছুটা ‘সাশ্রয়’
এবার আরও কম দামে এলএনজি কিনল সরকার
সাম্প্রতিক আমদানি
মূল্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, মার্চে প্রতি ইউনিট কিনতে দাম পড়েছে ৩৬ দশমিক ৭০ ডলার; যা
কেনা হয়েছিল সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে।
এপ্রিলে প্রতি ইউনিট
এলএনজি কেনা হয়েছিল ২৯ দশমিক ২৫ ডলারে- যা পরে ১০ শতাংশ কমে ১৮ মে ২৬ দশমিক ৪০ ডলারে
নেমেছিল। গেল ২৬ মে ভিটল এনার্জির কাছ থেকেই ২৫ দশমিক ৭৫ ডলারে কেনা হয় এলএনজি।
কৈলাশটিলায় অষ্টম কূপের কাজ শুরু
সিলেট গ্যাস ফিল্ড
কোম্পানির অধীনে অষ্টম কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; যাতে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ
৬৭ হাজার ৮০৭ টাকা।
আগামী এক বছরের মধ্যে
এ কূপ খনন থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়ার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
ক্রয় কমিটির সভায় এদিন
কৈলাশটিলা অষ্টম কূপের বিভিন্ন কেনাকাটার জন্য আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
অষ্টম গ্যাস কূপ খনন
কাজের প্রকল্প পরিচালক নুরুল ইসলাম ভূঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জরিপের
ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সেখানে কূপ খনন করা হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে কূপটির মজুদ
সম্পর্কে জানা যাবে।
ক্রয় কমিটির বৈঠকের
আলোচ্য সূচি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশি কোম্পানি ছাড়াও এ প্রকল্পে সিঙ্গাপুরের হেলিবার্টন
ফার ইস্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল মানসুরি পেট্রোলিয়াম, সুইজারল্যান্ডে নিবন্ধিত হেলিবার্টন
ইন্টারন্যাশনাল, নেদারল্যান্ডের পেনটেরা জিওকনসালটেন্ট, ভারতের গ্লোবাল ড্রিলিং ফ্লুয়িড
অ্যান্ড কেমিক্যালস, চীনের চায়না পেট্রোলিয়াম লগিং প্রকল্পের বিভিন্ন অংশে কারিগরি
কাজে যুক্ত থাকবে।
এছাড়া বৈঠকে জননিরাপত্তা
বিভাগের অধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) জন্য ১৭২ কোটি
১৯ লাখ টাকায় ফ্রান্ডের ইন্টারসেক থেকে জিও লোকেশন সিস্টেম ও সংশ্লিষ্ট সেবা কেনার
অনুমোদন দেওয়া হয়।