ক্যাটাগরি

‘ডিপফেইক’-এর বিষয়ে কঠোর হচ্ছে গুগল

এই পরিবর্তনের বিষয়টি প্রথম চিহ্নিত
করেছেন সামাজিক মাধ্যম ডিসকর্ডে ‘চেরভোনিজ’ নামে পরিচিত একজন ‘ডিএফএল’ নির্মাতা। প্ল্যাটফর্মটিতে
তিনি যখন ডিপফেইক মডেলদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করেন, তখন তিনি একটি ‘বার্তা’ পেয়েছেন।

“আপনি হয়ত এমন একটি কোড চালানোর চেষ্টা
করছেন, যেটির অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতে এটি আপনার ‘কোলাব’ ব্যবহারের ক্ষমতা আটকে
দিতে পারে। দয়া করে আমাদের ‘এফএকিউ’-তে উল্লেখিত নিষিদ্ধ কার্যক্রম সম্পর্কে জানুন।”
–বার্তাটি পেয়েছেন চেরভোনিজ।

কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই এই
পরিবর্তন এনেছে গুগল। এমনকি এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি প্রতিষ্ঠানটি। এর পেছনে সম্ভাব্য
কারণ হিসেবে বাস্তবিক দিকটিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক
সাইট টেকরেডার প্রো।

সুবিধার অপব্যবহার

ডিপফেইক আসলে ‘ফটোশপ করা’ ভিডিও, যেখানে কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে
এমন কথা বলানো সম্ভব হয়, যেগুলো তিনি কখনও বলেননি।

এসব ভিডিও নির্মাতারা ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)’ এবং ‘মেশিন লার্নিং
(এমএল)’ প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য’ ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এসব নকল ভিডিওকে আসল ভিডিও থেকে আলাদা করা
দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এসব ভিডিওকে বিশ্বাসযোগ্য বানাতে উল্লেখযোগ্য ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার প্রয়োজন,
যেটি ‘কোলাব’ সেবার মাধ্যমে পাওয়া যায় না। গুগল রিসার্চ প্রকল্পে ব্যবহারকারীকে বিনামূল্যে
কম্পিউটিং উপকরণ ব্যবহারের পাশাপাশি নিজস্ব ব্রাউজারে ‘পাইথন’ সফটওয়্যার চালানোর সুবিধা
দিয়েছে গুগল।

ডিপফেইক সাধারণত রসিকতার ক্ষেত্রে এবং ভুয়া সংবাদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তবে, গুগলের
এই সিদ্ধান্তের পেছনে যে নীতিগত ভূমিকা রয়েছে, সেটি মনে হওয়া স্বাভাবিক বলে উল্লেখ
রয়েছে টেকরেডারের প্রতিবেদনে।

‘কোলাব’ সেবা ব্যবহার করে অনেকেই ডিপফেইক ভিডিও বানাচ্ছে, যা গবেষকদের গুরুত্বপূর্ণ
কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, সেটিও এই সুবিধা বন্ধের একটি কারণ হতে পারে। এ ছাড়া, অন্যান্য
কম্পিউটিং উপকরণ বিনামূল্যেই ব্যবহার করা যাচ্ছে।

ডিপফেইকের পাশাপাশি, ক্রিপ্টো মাইনিং,পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং, একাধিক অ্যাকাউন্ট
ব্যবহার করে সেবায় প্রবেশ, দুরবর্তী ডেস্কটপ ব্যবহার অথবা দুরবর্তী প্রক্সির সঙ্গে
সংযোগ করার মতো কার্যক্রমে ‘কোলাব’ সেবা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি গুগল।