আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাদেরকে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন দেয়।
আদালতে আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, রুহুল কুদ্দুল কাজল ও কায়সার কামাল।
রুহুল কুদ্দুস কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের মামলাসহ শাহবাগ, পল্টন,
ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ ৩৫ নেতাকর্মীর জামিন দিয়েছে আদালত।”
শাহবাগ, পল্টন ও ধানমন্ডি থানার মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ সংগঠনের ৩৫ নেতাকর্মী জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
জামিন পাওয়া অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান,
যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন ও সদস্য সচিব মো. আমানুল্লাহ আমানও রয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৭ মে ছাত্রলীগের শহীদুল্লাহ্ হল শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় কার্জন হলের সামনে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শৃঙ্খলা’ ও ‘সম্পদ’ নষ্টের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা তিনশ’ থেকে চারশ’ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। হামলায় ছাত্রদলের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করে সংগঠনটি।
ওই হামলার প্রতিবাদে ২৬ মে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হাই কোর্ট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দোয়েল চত্বরের দিকে গেলে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়। ওই দিনের হামলায় ৪৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ছাত্রদল।