উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, “উপজেলার চকচান্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ শাহানা বেগম তা স্বীকার করেছেন।”
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রস্রাবখানায় লম্বা লাইন পড়ে। সে সময় সে স্কুলের ছাদে প্রস্রাব করে।
“এ কারণে ম্যাডাম আমাকে অনেক মারধর করেন। আমার হাতে একটা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে ম্যাডাম বলেন, ‘এখানে প্রস্রাব কর।’ আমি ভয়ে ভয়ে প্রস্রাব করি। তারপর ম্যাডাম বলেন, ‘এখন তুই এই প্রস্রাব খা। না খেলে আরও মারব।’ আমি ভয়ে প্রস্রাব খেয়ে বাসায় গিয়ে বাবা-মাকে বলে দিই।”
ঘটনা জানার পর পুরো এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা ওই শিক্ষিকার অপসারণ দাবি করেছেন।
শিক্ষিকা শাহানা বেগম বলেন, “আমি রাগ করে বলেছি যে তুমি ছাদে কেন প্রস্রাব করলে। এখন তুমি এটা খাও। কিন্তু আমি নিজে তাকে খাওয়াইনি।”
প্রধান শিক্ষক মো. এরশাদ আলী ডলার অন্য শিক্ষকের কাছে ঘটনা শুনেছেন বলে জানান।
এরশাদ আলী বলেন, “ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরে সহকারী শিক্ষিকা তানজিলার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনেছি। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি।”
খবর পাওয়ার পরপরই শিক্ষা কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা বিদ্যালয়ে ঘটনা যাচাই করেন।
ইসতিয়াক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহানা বেগম দোষ স্বীকার করেছেন।”
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজমল হোসেন ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। ঘটনার বিচার দাবি করেছেন উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম।