ক্যাটাগরি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি? এখনও ‘সন্তুষ্ট নয়’ ইউজিসি

সহসাই যে এ বিষয়ে অনুমোদন মিলছে না, সে ইঙ্গিত দিয়ে বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রস্তুতি নিয়ে কমিশন এখনও
‘সন্তুষ্ট নয়’।

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি পরিপূর্ণ প্রস্তাব
আসে, তাহলে ইউজিসি এটা নিয়ে বসবে। তাদের সক্ষমতা দেখবে।”

দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ থাকলেও বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ে তা নেই।

মঙ্গলবার একটি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানে মঞ্জুরী কমিশনের এই সদস্যের
বক্তব্যের পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।

আলোচনায় মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের শিক্ষা, গবেষণার
সুযোগ দিতে হবে। সেখানে কোনো বিধিনিষেধ দেওয়া যাবে না। পিএইচডি শুরু করতে হলে একটা
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি হতে হবে।

“সবকিছু মিলিয়ে ইউজিসি এখনও কনভিন্সড না যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
থেকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া যায়।”

এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘এগিয়ে আসার’ আহবান জানিয়ে আলমগীর
বলেন, “প্রথম সারির ১০-১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের কাছে পরিপূর্ণ প্রস্তাব দেয়,
কোন বিষয়ে তারা পিএইচডি ফ্যাকাল্টি পাচ্ছে, সে অনুযায়ী তাদের গবেষণা হচ্ছে কিনা। তাদের
সক্ষমতা কতটুকু…।

“পিএইচডি ডিগ্রি তৈরির অর্ডিন্যান্স তৈরি করতে হবে তাদের। এরপর ইউজিসি
এসব নিয়ে বসবে। দেখবে তাদের সক্ষমতা আছে কিনা। যদি থেকে থাকে, তাহলে তারা পিএইচডি ডিগ্রি
দেওয়ার সুযোগ পাবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয় ও ব্যয়ে ‘স্বচ্ছতার অভাব’ আছে মন্তব্য করে ইউজিসির
এই সদস্য বলেন, আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক আয়ের একটা অংশ গবেষণার
জন্য ব্যয় হতে হবে। কত অংশ তারা গবেষণার জন্য ব্যয় করছে, কীভাবে করছে, সেটা এখনও নির্ধারণ
করতে পারেনি তারা।

“প্রতি বছরই অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা, কিন্তু সেখানেও আমরা দেখি গোজামিল
রয়েছে। প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি, তারা গবেষণার জন্য
ব্যয়টা কীভাবে করছে?”

তবে অধ্যাপক আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে দাবি করেছেন, টেলিভিশন
আলোচনায় তার বক্তব্যকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ভুলভাবে’ উপস্থাপন করা হয়েছে।