ক্যাটাগরি

রুশ পারমাণবিক বাহিনীর ‘মহড়া চলছে’

ইউক্রেইনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে তুলে দিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানকার শহরগুলোতে রুশ হামলার ধার বেড়েছে; তার মধ্যেই এবার তাদের পারমাণবিক বাহিনীর মহড়ার খবর এল। 

বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে ইন্টারফ্যাক্স এ মহড়ার খবর দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ মহড়ায় হাজারখানেক সৈন্য এবং জার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের লঞ্চারসহ শতাধিক যান ব্যাপক কৌশলগত প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইউক্রেইনের নেটো অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে এবং তাদেরকে ‘নিরস্ত্র’ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করার লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে রাশিয়া তাদের ভাষায় ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ নামে।

এর পাল্টায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া ও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে বিশেষ ‘সতর্ক অবস্থায়’ থাকার নির্দেশ দেন। রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বহরের জন্য এটাই সর্বোচ্চ স্তরের সতর্ক অবস্থা।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে, পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এমন কথা জানানোর পরপরই ইভানভো প্রদেশে রুশ পারমাণবিক বাহিনীর মহড়ার এ খবর এল।

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতামত পাতায় এক নিবন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিখেছেন, “ইউক্রেনকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠাতে যাচ্ছি আমরা, যেন তারা যুদ্ধ করতে পারে এবং আলোচনার টেবিলে শক্তিশালী অবস্থানে থাকতে পারে।” 

দূর পাল্লার এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানো হবে না- ইউক্রেইনের কাছ থেকে এমন ‘আশ্বাস’ মিলেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলায় এসব অস্ত্র ব্যবহৃত হলে তা মস্কো-ওয়াশিংটন সরাসরি সংঘাত উসকে দিতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।