বুধবার হাটহাজারি উপজেলার আজিমের ঘাট এলাকা থেকে মাছটি উদ্ধার করা হয় বলে চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সাড়ে তিন ফুট দৈর্ঘ্যর মাছটির ওজন প্রায় ১২ কেজি। সেটি পানিতে ভেসে এসেছিল। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।
মৃত কাতলা মাছটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্স সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।
পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে সেটি মারা যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন ওই গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া।
তিনি বলেন, “কাতলা মাছের গড় আয়ু ১২ বছর। উদ্ধার করা মাছটির বয়স ছয় বছরের কিছু বেশি।
“মাছের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। কিন্তু সেটি হা করে ছিল। তা দেখে মনে হচ্ছে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে সেটি মারা গেছে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি মঞ্জুরুল বলেন, “অনেক সময় চোরা শিকারীরা মাছে বিষ প্রয়োগ করে। তখন অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে মাছ মরে যায়।
“আমরা ধারণা করছি পানিতে হয়ত কেউ এমন বিষ প্রয়োগ করছে। যার কারণে শ্বাসকষ্টে মাছটি মরে গিয়ে ভেসে উঠেছে।”