সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৪৩৩
দশমিক ১৭ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
গত ২৫ মে সূচক ছিল ৬ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে, এরপর টানা পাঁচ কার্যদিবসে
প্রায় ২৪৫ দশমিক ৫২ পয়েন্ট যোগ হয়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে ডিএসই সূচকে।
মহামারীর পর ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে অস্থিরতার পাশাপাশি ডলারের দাম চড়ে গেছে। সেই আতঙ্কের মধ্যে টানা
সূচকপতন শুরু হয় দেশের পুঁজিবাজারে।
শেয়ার বিক্রির হিড়িকে গত ৯
মে থেকে ২২ মে আট লেনদেন দিবসে ডিএসই সূচক হারায় ৫৫৫ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক
২৯ শতাংশ।
এরপর ডিএসইতে ২৩ মে ১১৯
পয়েন্ট সূচক বাড়লেও একদিন বাদেই টানা দুই দিন সূচক কমে।
এর মধ্যে মার্জিন ঋণের সীমা বৃদ্ধি,
সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমা কমানোর মত পদক্ষেপ নেয় বিএসইসি। সেই খবরে আস্থা ফেরে
বাজারে, তাতে বাড়তে থাকে সূচক।
ঢাকার বাজারে বুধবার ৭৪৩ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের দিনের
চেয়ে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার এই বাজারে ৬৩৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।
ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হাতবদল হয়েছে এদিন। এর মধ্যে ২৮১টির দর বেড়েছে, ৫১টির কমেছে এবং ৪৭টির
দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে
ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৯ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট
বেড়ে ১ হাজার ৪১২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট হয়েছে। আর ডিএস৩০ সূচক ৫ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ২
হাজার ৩৫৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট।