টুইটারে এই বড় পরিবর্তনের খবর জানিয়েছে
বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গ। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ‘অডিও স্পেসেস’, ‘কমিউনিটিজ’ এবং
‘নিউজলেটার’ ফিচারগুলো নিয়ে যে কর্মীরা কাজ করছিলেন, তাদের ওই প্রকল্পগুলো থেকে সরিয়ে
নিয়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগতকরণ প্রকল্পের কাজে নিয়োগ দিচ্ছে টুইটার।
গেল কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় আছে টুইটার।
প্রথমে টুইটারের বড় আকারের শেয়ার কিনে এবং পরবর্তীতে পুরো প্রতিষ্ঠান কিনে নেওয়ার প্রস্তাব
দিয়ে আলোড়ন তুলেছিলেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।
স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্টের সঠিক সংখ্যা
নিয়ে বিতর্কের জেরে মাস্ক সেই অধিগ্রহণ চুক্তি ঝুলিয়ে রাখলেও, প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক
কর্মকাণ্ডে মালিকানা হাতবদলের প্রস্তাবের প্রভাব স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে বলে উঠে এসেছে
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে।
মাস্কের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মে
মাসের শুরুতেই নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন টুইটারের
প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল। একই সঙ্গে টুইটারের দুই বিভাগীয় প্রধানকে ছাটাই করেছিলেন
তিনি।
ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে
উঠে এসেছে, টুইটারের আভ্যন্তরীণ কাঠামোর নতুন পরিবর্তনগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্ল্যাটফর্মটির
পণ্য ও আয় বিভাগের নতুন প্রধান জে সালিভান।
ব্লুমবার্গকে দেওয়া বিবৃতিতে এক টুইটার
মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা ভোক্তা পণ্য দলের কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন আনছি এবং জন পরিসরে
সর্বোচ্চ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন বিষয়গুলোকে রোডম্যাপে গুরুত্ব দিতে চাইছি।”
তবে, ঠিক কোথায় কী পরিবর্তন আনা হচ্ছে,
সে প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি ওই মুখপাত্র।
অন্যদিকে, টুইটারের আসন্ন যে ফিচারগুলো
নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে কেবল ‘এডিট’ ফিচারটি নিয়ে নিশ্চিতভাবে কাজ চলছে বলে উঠে
এসেছে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে। বছরের শুরুতেই ফিচারটির ঘোষণা দিয়েছিল টুইটার। টুইট
করার পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহারকারী এডিট করার সুযোগ পাবেন এবং টুইট এডিটের
ইতিহাস দেখা যাবে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।