ফ্রান্সের প্যারিসে গত শনিবার লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে
ইউরোপ সেরার ট্রফি ঘরে তোলে রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় যা দলটির রেকর্ড
১৪তম শিরোপা।
রিয়ালের বিপক্ষে এবারের ফাইনাল ঘিরে সালাহর আবেগের বহিঃপ্রকাশ
ছিল স্পষ্ট। ২০১৮ সালে স্পেনের দলটির বিপক্ষে হারের প্রতিশোধের কথা বলে আসছিলেন তিনি
প্রকাশ্যে, বারবার।
ফাইনালে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে দেখা যায় সালাহকে। যদিও
দারুণ নৈপুণ্যে মিশরের এই ফরোয়ার্ড ও তার সতীর্থদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন রিয়াল
গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ভিনিসিউস জুনিয়র গোল করে চূড়ান্ত হতাশা উপহার দেন ইংল্যান্ডের
দলটিকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারলেও লিভারপুল ঘরোয়া দুই শিরোপা-
লিগ কাপ ও এফএ কাপ জিতেছে। প্রিমিয়ার লিগেও তারা শেষ রাউন্ড পর্যন্ত ছিল শিরোপার লড়াইয়ে।
শেষ পর্যন্ত তাদের এক পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ একটা সময় পর্যন্ত লিভারপুলের
সামনে ছিল প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে মৌসুমে চার শিরোপা জয়ের হাতছানি। সব মিলিয়ে মৌসুমে
লিভারপুলের পথচলাটা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু সালাহ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারার কষ্ট
ভুলতে পারছেন না কিছুতেই।
প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের সেরা প্লেমেকারের পুরস্কার জিতেছেন
সালাহ। সেই সাথে টটেনহ্যাম হটস্পারের সন হিউং-মিনের সঙ্গে হয়েছেন যৌথভাবে সর্বোচ্চ
গোলদাতা। ২৩টি করে গোল করেন দুজন।
এছাড়াও ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিচারে বর্ষসেরা পুরুষ
ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন। প্রফেশনাল ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশনের বিচারে ‘ফ্যানস প্লেয়ার
অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ও পেয়েছেন।
টুইটারে বৃহস্পতিবার সালাহ এই দুই পুরস্কার জয়ের জন্য ভক্ত
ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সেখানেও উঠে আসে প্যারিসের হারের বিষাদ।
“একই মৌসুমে সমর্থক ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের কাছ থেকে স্বীকৃতি
পাওয়াটা বিশেষ কিছু, যা আমি কখনও ভুলব না।”
“ফাইনালটি পুনরায় খেলার জন্য আমি সব ব্যক্তিগত পুরস্কার দিয়ে
দিতাম, কিন্তু ফুটবলে তো এটা সম্ভব নয়। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, লিভারপুলে ট্রফিটি
ফিরিয়ে আনতে আমাদের চাওয়া ছিল কতটা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা তা পারিনি।”