ক্যাটাগরি

পঞ্চগড়ে গাভি দেওয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

‘অন্তত ২৫০’ পরিবারকে একটি করে গাভী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। প্রতিকার পেতে জেলা প্রশাসককে ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য দেন অভিযোগের মুখে থাকা আব্দুল খালেক। তিনি বিলুপ্ত ছিটমহল কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, এই বিষয়টিতে জড়িয়ে তিনি নিজেও প্রতারিত হয়েছেন। বিলুপ্ত পুটিমারি ছিটমহলের সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন এবং ওই বিলুপ্ত ছিটমহলের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম তাকে একটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সবাইকে গাভি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

“পরে মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে তাদের কাছে পাঠাই। লোকজন গাভি না পেয়ে আমার কাছে আসতে শুরু করলে আমিও তাদের সঙ্গে টাকার জন্য ঘুরছি। ইতোমধ্যে তাদের (ফাউন্ডেশন) থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলতে পেরেছি। আর নিজের পকেট থেকে কিছু টাকা দিয়ে অনেকের টাকা ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকা খুব দ্রুত ফেরত দেওয়া হবে।”

এলাকার মানুষের উপকারের কথা ভেবে অন্যের কথায় রাজি হয়ে নিজেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন আব্দুল খালেক।

এ বিষয়ে কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম বলেন, “এক বছর আগে সবার বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরি করে টাকা নেওয়ার সময় আমি নিষেধ করেছিলাম। এখন তাদের গাভি দেওয়া দূরের কথা তাদের টাকাই ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর সমাধান চাই।”

এদিকে তসলিম উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম এর সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, “এখনই কিছু বলতে পারব না, আগে দেখি কী হয়।”

এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর অভিযোগ পেয়ে বোদা ইউএনওকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সলেমান আলী।