লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গত বুধবার ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার
দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফিনালিস্সিমা নামের ট্রফি জিতেছে
আর্জেন্টিনা।
গত বছরের জুলাইয়ে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন
হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার স্কালোনির দলের অর্জনের পালকে যুক্ত হল আরেকটি
আন্তর্জাতিক শিরোপা।
শুধু ট্রফি জয় নয়, গত তিন বছরে তাদের দারুণ পারফরম্যান্স ও অজেয়
পথচলাও করছে আশার সঞ্চার। মধ্যমণি লিওনেল মেসি ক্লাব ফুটবলে গত মৌসুমে সেরা ছন্দে
না থাকলেও জাতীয় দলে ঝলক দেখাচ্ছেন নিয়মিত। কার্যকর আক্রমণভাগের সঙ্গে জমাট
ডিফেন্স এবং গোছালো মিডফিল্ডের সমন্বয়ে দুই বারের বিশ্বকাপ জয়ীদের অনেকেই দেখছেন
কাতার বিশ্বকাপের ফেভারিট দলগুলোর একটি হিসেবে।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে কোনো ম্যাচ না হারা আর্জেন্টিনা টানা ৩২
ম্যাচ ধরে অপরাজিত। নিজেদের ইতিহাসে তাদের আগের রেকর্ড ছিল ৩১ ম্যাচের, ১৯৯১ থেকে
১৯৯৩ সালের মধ্যে করেছিল তারা।
ইউরো ২০২০ চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে বলতে গেলে লড়াইয়ের কোনো সুযোগই দেয়নি
আর্জেন্টিনা। বেশ কিছু সুযোগ মিস না করলে ব্যবধান বাড়তে পারত আরও।
জয়টা সহজে ধরা দিলেও স্কালোনির ভাবনাজুড়ে কেবলই সামনের সময়।
সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে কঠিন সময়ে দলের দৃঢ় থাকা এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া দেখানো
সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
“ফলাফলের বাইরে দলটি যে ত্যাগ, লড়াকু মনোভাব ও
টিম স্পিরিট দেখিয়েছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে আমাদের আর যা দরকার, তা হলো
কার্যকারিতা। কোনো ম্যাচে বা কোনো সময় ভুগতে হলে আমরা ভুগব, কিন্তু সেই সময়ও আমাদের
করণীয় মনে রাখতে হবে। তারা (ইতালি) প্রথমার্ধে যেমন কিছু সময় আমাদের সমস্যায়
ফেলেছিল, তারা দুর্দান্ত একটি দল। কিন্তু ফুটবলে এগুলো তো হয়ই।”
“আমাদের বিশ্বাস, জয়ের আত্মবিশ্বাস অনেক কিছু থেকে মুক্তি দেয়। একই
সঙ্গে আমরা এটাও জানি যে কোনো এক সময়ে দলটি বাধার মুখে পড়বে, হোঁচট খাবে, তখন
আমাদের শক্ত থাকতে হবে। এই বিষয়টা নিয়েই আমি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত।”
বিশ্বকাপ নিয়ে এখনই খুব বেশি ভাবতে চান না স্কালোনি। দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ
থেকে বিশ্ব সেরার মঞ্চে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে চান তিনি।
“আমি চাই, দলটি এখন যেমন আছে সেভাবেই থাকুক,
যতবার আমরা একসঙ্গে হবো, আমরা যেন একই লক্ষ্যে অটুট থাকি।“
“বিশ্বকাপ
একেবারেই ভিন্ন। আমরা যদি মনে করি, আমরা সব কাজ সেরে
ফেলেছি, এখন আমরা প্রস্তুত, তাহলে ভুল করব। এটা
(ফিনালিস্সিমা) থেকে বিশ্বকাপ একেবারেই আলাদা, সেখানে
চাপটাও থাকবে অন্যরকম এবং আমাদের তা মোকাবেলা করতে হবে।”