ক্যাটাগরি

ব্রিটিশ রানীর এমবিই খেতাব পেলেন নাদিয়া সামদানি

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া ও যুক্তরাজ্যের শিল্পকলায় পৃষ্ঠপোষকতার স্বীকৃতি হিসেবে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাদিয়া সামদানিকে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। 

নিজের চেষ্টা এবং এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশের সমসাময়িক চিত্রশিল্পীদের কাজ তুলে ধরছেন তিনি। তাতে তাদের কাজগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছে।

সামদানি ঢাকা আর্ট সামিটেরও সহপ্রতিষ্ঠাতা। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে এ প্রদর্শনীতে। ২০২০ সালে এই সামিট ৪ লাখ ৭৭ হাজার দর্শনার্থী পেয়েছিল। আগামী বছর দশম বার্ষিকী উদযাপন করবে ঢাকা আর্ট সামিট।

সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হলে- শিল্পকলাকে সবার কাছে পৌঁছানো সহজ করা, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনা এবং স্থানীয় জনসাধারণকে চিত্রকলার সঙ্গে যুক্ত করা।

এমবিই সম্মাননা পাওয়ার খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাদিয়া সামদানি বলেন, “এক দশকের বেশি সময় ধরে শৈল্পিক প্রতিভাকে সমর্থন ও লালন করার জন্য এই স্বীকৃতি পাওয়া একটি অসাধারণ সম্মান।

“আমাদের কাজের সঙ্গে যে বিশাল জনসম্পৃক্ততা তৈরি হয়েছে, এই ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের মধ্যে নতুন আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগকে যেভাবে উৎসাহিত করে চলেছে, তাতে আমি আনন্দিত।

“রানির সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্তির উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে এই সম্মাননার সুখবর এসেছে, আমি শিহরিত। এই দীর্ঘ সময় রানির দায়িত্ব পালন আর তার আন্তরিকতার যে নজির, আমি তার প্রতিফলন আমার নিজের কাজেও ঘটাতে চাই। 

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার সমসাময়িক শিল্পী ও স্থপতিদের কাজে সহযোগিতা এবং তাদের কর্মপরিধি বাড়াতে স্বামী রাজীব সামদানির সঙ্গে ২০১১ সালে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন নাদিয়া। তার উদ্যোগেই পরে ঢাকা আর্ট সামিট শুরু হয়।

নাদিয়া সামদানি যুক্তরাজ্যের আর্ট গ্যালারি টেটের সাউথ এশিয়া অ্যাকিউজিশনস কমিটি, টেট ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল, আলসারকাল অ্যাভিনিউ প্রোগ্রামিং কমিটি, ডেলফিনা ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য।

এ ছাড়া তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির লক্ষ্মী মিত্তাল সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের আর্টস অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

২০১৭ সালে স্বামী রাজীবের সঙ্গে প্রথম দক্ষিণ এশীয় শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে মর্যাদাপূর্ণ ‘মন্টব্লাঙ্ক দে লা কালচার আর্টস প্যাট্রোনেজ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন নাদিয়া সামাদানি।