বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে বৃহস্পতিবার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব ও সহ-অধিনায়ক হিসেবে লিটনের নাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি জানান, দায়িত্বের সুনির্দিষ্ট মেয়াদ নেই।
“দিন হিসেবে আমরা সাধারণত… আমরা বলছি না কত দিনের জন্য (সাকিবদের দায়িত্ব)। কতদিন থাকবে (সাকিব), এটা বলা মুশকিল।”
“সুনির্দিষ্ট মেয়াদ ওয়ানডেতে নাই, টি-টোয়েন্টিতে নাই, টেস্টেও নাই। আমরা তাকে করেছি, যতক্ষণ না… আমরা যেমন মুমিনুলকে কোনো টাইমফ্রেম দেইনি। ও টেস্ট ক্যাপ্টেন, এখন বলেছে থাকতে চায় না, সেজন্য সেখানে আরেকজনকে দিয়েছি। কেউ যদি সামনে না হতে চায় বা এরকম কোনো পরিস্থিতি হয় যে তাকে রাখা যাবে না, তখন… কিন্তু এরকম পরিস্থিতি আমরা আগেই অনুমান করব কেন?”
সাকিবকে নিয়ে একটা বড় সংশয়ের জায়গা ছিল টেস্টে তাকে নিয়মিত পাওয়া নিয়ে। গত কয়েক বছরে বেশি কিছু টেস্টেই তাকে পাওয়া যায়নি নানা কারণে। গত মাসে স্বয়ং বিসিবি প্রধানই বলেন, সাকিব কোনটা খেলবেন বা খেলবেন না, তারা নিজেরাও তা নিশ্চিত নন। তবে এবার নিশ্চয়তা পেয়েই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি।
“আমার সঙ্গে যা কথা হয়েছে, অবশ্যই (খেলবে)। আমার আগে অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শুধু আমি নই, অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওর সঙ্গে কথা বলে যেটা জেনেছি…এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর আমাদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ আছে, সেই সিরিজটায় ও নিশ্চিত নয়। তবে এরপর যত সংস্করণে যত খেলা আছে, সব খেলবে ও। এই হচ্ছে ওর সঙ্গে কথা। টেস্ট তো অবশ্যই খেলবে বলেছে। এটা আমাদের একটা নির্ণায়ক (সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে) ছিল যে সে খেলবে কিনা।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর আগামী জুলাই মাসের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। বিসিবি সভাপতি যা বললেন, তাতে সেই সিরিজে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলো এখনই। অবশ্য জিম্বাবুয়ে সফরের কোনো ম্যাচ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়। গুরুত্ব তাই কিছুটা কম।