গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া।
এখন পর্যন্ত চলমান এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ, বসতভিটা হারিয়েছেন অনেকে।
এই যুদ্ধের কারণেই শুরুতে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল স্কটল্যান্ডের
বিপক্ষে ইউক্রেইনের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের ম্যাচ। প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, গত
২৪ মার্চ ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল।
নতুন সূচিতে ম্যাচটি হয়েছে বুধবার রাতে। তাতে ৩-১ গোলে
জিতে প্লে-অফের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইউক্রেইন। আগামী রোববারের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ
ওয়েলস। এই ম্যাচে জিতলেই কাতার বিশ্বকাপের টিকেট পাবে ইউক্রেইন।
স্কটল্যান্ড-ইউক্রেইন ম্যাচটি শুরুর কিছুক্ষণ আগে ইনস্টাগ্রামে
পোস্ট দিয়ে রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানান একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ
জয়ী পেলে।
“আমি আজকের (বুধবার) ম্যাচটিকে একটি অনুরোধ জানানোর মঞ্চ
হিসেবে ব্যবহার করতে চাই; আগ্রাসন বন্ধ করুন। এই সহিংসতার পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে
পারে না। এই সংঘাত বিদ্বেষপূর্ণ ও অযৌক্তিক। এটা কষ্ট, ভয়, সন্ত্রাস এবং দুর্ভোগ ছাড়া
কিছুই নিয়ে আসে না।”
ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা পেলের সঙ্গে পুতিনের
সবশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১৭ সালে, মস্কোতে হওয়া কনফেডারেশন্স কাপের সময়। পুতিন তখন
পেলেকে তার সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
সেই সুন্দর স্মৃতি সন্মরণ করে পেলে লিখেছেন, তার অবস্থানও
কখনও পুতিনের বিপক্ষে হবে, এমনটা তিনি কখনও ভাবতে পারেননি।
“আমাদের যখন দেখা হয়েছিল, তখন হাস্যোজ্জ্বল মুখে করমর্দন
করেছিলাম। কখনও ভাবিনি যে এমন একদিন আসবে যখন আমাদের অবস্থান আজকের মতো আলাদা হবে।”
অনেকের মতে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার পেলে গত কয়েক বছর ধরে
নানা রোগে ভুগছেন। নিতম্বে অস্ত্রোপচারের পর এখন তিনি সহায়তা ছাড়া হাঁটতে পারেন না।
আরও কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়েছে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে।
শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে
নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল পেলেকে। সেখানেই তার বৃহদান্ত্রে
টিউমার ধরা পড়ে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রায় এক মাস হাসপাতালে থাকার পর অক্টোবরের
শুরুতে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর থেকে নিয়মিত কেমোথেরাপি চলছে তার।