বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এবং বন্দর মার্কেট এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অংশ নেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“চাক্তাই চালের আড়তের আল্লাহর দান চাউল ভান্ডারে প্রায় ৮ হাজার বস্তা চালের মজুদ পাওয়া গেছে। ফুড গ্রেইন সনদ অনুসারে ৬ হাজার বস্তা চাল রাখতে পারে একজন আড়তদার। তার ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে।”
এছাড়া ফুড গ্রেইন লাইসেন্স না থাকা ও লাইসেন্স নবায়ন না করায় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের এসএ ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা, সাদ এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার টাকা ও বাগদাদ রাইস এজেন্সিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই কারণে বন্দর মার্কেট এলাকার গরীবে নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার, জাশেদ ব্রাদার্সকে ১ হাজার ও মেসার্স হাজী অহিদুর রহমানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।
তিনি বলেন, “কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চালের দাম বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত চাল মজুদ করে বাজার অস্থিতিশীল করায় অভিযান পরিচালনা করেছি।
“কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়-
চাল মজুদ করার লাইসেন্সে উল্লিখিত পরিমাণের বাইরে চাল মজুদ করছিল, তাদের অর্থদণ্ড করা হয়েছে ও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।”
এরআগে বুধবার নগরীর আরেক বড় পাইকারি বাজার পাহাড়তলি চালের বাজারে অভিয়ান চালায় ভ্রাম্যমাণ
আদালত।