বুধবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ট্রেইনিং সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এমন দাবিই করেন তিনি।
মোস্তফা কামাল বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করতে, একদিনে হয়ত বন্ধ করতে পারব না। কিন্তু আমাদের পদক্ষেপে কমে আসছে কিনা, সেটা সবাই মিলে দেখতে পারি।”
বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় গত বছর বিমানের ১৭৮ কর্মীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের মধ্যে ১৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়েছে।
সোনা চোরাচালানের সঙ্গে এয়ারলাইনসের অপারেটরেরাও যে জড়িত, তা ‘অস্বীকার করার সুযোগ নেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আগে বড় বড় চালান ধরা পড়ত, এখন দেখা যাচ্ছে ছয়-সাতটায় ধরা পড়ছে সেই পরিমাণ।
“আগে কেউ স্বর্ণ আমদানি করে নিয়ে আসত না। সরকার স্বর্ণ নীতিমালা করে দেওয়ার পর থেকে এখন বিরাট লাইন দেখা যায় কাস্টমসে। তারপরও সোনার চোরাচালান আসছে।”
বিমানের চেষ্টাতেই স্বর্ণ চোরাচালান ‘কমে আসছে’ দাবি করে এমডি বলেন, “আমাদের কাজ হচ্ছে, স্বর্ণ চোরাচালানকে যতটা পারা যায় শূন্যের দিকে নিয়ে যাওয়া। সিসি ক্যামেরার এরিয়া বাড়িয়ে দিয়েছি, বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে যাতে দেখা যায়। আমরা নতুন কিছু যন্ত্রপাতি যুক্ত করার চেষ্টা করছি।”
চোরাচালান বা অনিয়মে যুক্ত হলে বিমান কর্মীদের বিরুদ্ধে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেই বিবরণ দিয়ে বিমানের এমডি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০২টি বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শাস্তি হয়েছে ১৭৮টিতে।
এসব মামলায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ৫২ জনকে। তাদের ১৩ জন স্বর্ণ চোরাচালানের বিভিন্ন মামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনজনকে অপসারণ করা হয়েছে। পদাবনতি দেওয়া হয়েছে দুজনের। ইনক্রিমেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে ১৫ জনের। অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়েছে নয়জনকে। ২৫ জনকে তিরস্কার করা হয়েছে । এছাড়া ৩৪ জনকে ‘কঠোরভাবে’ সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এমডি।