ঢাকার
১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার পরীমনির আবেদনের শুনানি
শেষে তার ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেন।
অন্তঃসত্ত্বা
পরীমনি গত ১২ মে ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন নথিভুক্ত
করে শুনানির জন্য ২ জুন তারিখ রেখেছিল। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করলেন
বিচারক।
এদিন
সকাল ১০টায় ঢাকার আদালতে হাজিরা দেন পরীমনি। এ মামলায় এ দিন সাক্ষ্যগ্রহণের দিনও ধার্য
ছিল।
মামলার
বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমানকে জেরা করেন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত
সুরভী। পরে আগামী ১৯ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন বিচারক।
এর
আগে গত ২৯ মার্চ এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে পরীমনি অসুস্থ থাকায়
সেদিন আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
তার
পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময়ের আবেদন করেন। সেদিন অন্য দুই আসামি আদালতে
উপস্থিত ছিলেন।
গত
৪ অগাস্ট রাতে বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন
তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাবের
জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা
বলা হয়।
পরীমনিকে
গ্রেপ্তারের পর র্যাব মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেছিলেন, পরীমনির ফ্ল্যাটে ‘মিনি বার’
ছিল। তিনি নিয়মিত মদ পান করতেন এবং ‘ঘরোয়া পার্টি’ আয়োজন করতেন। তার কাছে মদ ব্যবহারের
একটি লাইসেন্স পাওয়া গেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছে ‘অনেক আগে’।
পরীমনি অভিযুক্ত, বিচার হবে মাদক মামলায়
পরীমনি যাননি, সাক্ষীরাও অনুপস্থিত, সাক্ষ্য হল না প্রথম দিন
এই
অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তারের পর তিন দফা রিমান্ডে নেওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে হাই কোর্টও
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। পরে গতবছরের ৩১ অগাস্ট বিচারিক আদালত তার জামিনের আদেশ দেন।
পরদিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পান।
তদন্ত
শেষে গত ৪ অক্টোবর পরীমনিসহ তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত
বিভাগ-সিআইডি। পরে তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় জজ আদালত।
মামলার
অপর দুই আসামি হলেন, পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু এবং পরীমনির খালু কবীর হোসেন
হাওলাদার।