সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হয় গত ২০ মে। ওইদিন
রাজবাড়ী সদর উপজেলা থেকে মাইনুলসহ প্রশ্নফাঁস চক্রের ১৩ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সে
সময় পুলিশ জানিয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদে প্রশিক্ষক মাইনুল ইসলাম হাওলাদার পরীক্ষার্থীদের
কাছ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা আদায়ের কথা ‘স্বীকার করেছেন’।
মাইনুলের
বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে অভিযোগ আনার
কথাও পুলিশ জানিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা
ও আপিল) বিধিমালা এবং সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী মাইনুল ইসলাম হাওলাদারকে ২০ মে থেকে
সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ‘প্রশ্ন ফাঁস’, রাজবাড়ীতে আটক ১৩
পরীক্ষার
দিন ২০ মে ওই ১৩ জনকে রাজবাড়ীর নতুনবাজারে মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে ধরা হয়।
আটকরা
হলেন: ইব্রাহীম হোসেন, সাগর আহম্মেদ, বিজয়
বালা, মো. নুরুল হক হাওলাদার, মো. হারুন সরদার, রেজাউল করিম, আবু সালাম, মুনছুর মন্ডল,
রুবেল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, রুমান হাসান, মাইনুল ইসলাম ও ফরিদা বেগম।
ওই
অভিযানে মোবাইল, মাস্টার কার্ড সদৃশ ডিভাইস, ছোট হেড ফোন, আড়িপাতা ডিভাইস, নগদ টাকা,
হাতে লেখা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ফটোকপি, গাইড বইসহ অন্যান্য সামগ্রী
জব্দ করা হয়েছে।