ক্যাটাগরি

সরকারের ‘কারসাজিতেই’ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে: ফখরুল

ক্ষমতাসীনদের
‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধে গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন
তিনি।

বৃহস্পতিবার
রাজধানীর বাসাবোতে হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক অ্যন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল
নেতাদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ফখরুল এসব অভিযোগ করেন। 

সরকারের
উদ্দেশে ফখরুল বলেন, “আপনারা বললেন যে, আটা, ময়দা, দুধ, পাউরুটি দাম বেড়েছে… আমাদের গরীব লোকরা কী করে? বেশির ভাগ
রিকশা শ্রমিক যারা, তারা দিনের বেলা রিকশা চালিয়ে ফুটপাত থেকে একটা কলা ও পাউরুটি
খায়। আজকে সেই রুটির দাম ডাবল হয়ে গেছে, তিনগুণ হয়ে গেছে।

“চালের
দাম ১০ থেকে ১৫ টাকায় উঠে গেছে। এমনকি সরকারের ১০ টাকা কেজির চাল, যা ৬২ হাজার লোককে
দেয়া হত, সেখানে তারা বাড়িয়ে ১৫ টাকা করছে।”

“অর্থাৎ…।
তাদের কারসাজিতেই আজকে খাদ্যপণ্য বলুন, খাদ্য দ্রব্য বলুন, এর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে
এবং জনগণের
দুর্ভোগ হচ্ছে।”

মির্জা
ফখরুলের ভাষায়, সরকার সবকিছুর মধ্যেই ‘অবৈধ মুনাফা’ চায়। 

“জনগণের
ন্যুনতম প্রয়োজন যেটা খাদ্য, এই খাদ্যকে তারা এখন জিম্মি করে প্রফিট নিতে চায়,
মুনাফা লুটতে চায়।”

আওয়ামী
লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জনগণের ‘ভালোবাসায় নয়, সন্ত্রাসের মাধ্যমে’ ক্ষমতাকে ধরে
রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

“এটা
হচ্ছে তাদের মৌলিক চরিত্র। আজকে শুধু নয়, বা এবারে শুধু নয়, প্রতিবার, আওয়ামী
লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতিকে এখানে প্রতিষ্ঠিত
করতে চেয়েছে।”

ক্ষমতাসীন
দলটি মানুষকে একটা ‘ভয়ের আবহে’ রেখে আবারও আগামী নির্বাচন পার হতে চায় বলে মন্তব্য
করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি
বলেন, “বাংলাদেশ এবার তা অবশ্যই হতে দেবে না।… নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের
পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এখানে নির্বাচন হতে হবে।”

ক্ষমতাসীনদের
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন,
“বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো রকমের সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না। জনগণের
ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মধ্য দিয়েই এ সন্ত্রাসকে পরাজিত করে জনগণের বিজয় ঘোষিত হবে।”

গত
২৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ছাত্র
দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ
ইয়াহহিয়া ও উত্তর ছাত্র দলের নেতা শাহাবুদ্দিন শিহাব বাসাবোর হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক
অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন বিএনপি
মহাসচিব।

বিএনপির
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম
মজনু, যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধাসহ স্থানীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।