বাংলাদেশের ক্রিকেটে ল প্রথম আসেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হয়ে। তার কোচিংয়েই ২০১২ সালে এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার চমক দেখায় বাংলাদেশ। তবে পারিবারিক কারণে মাত্র কয়েক মাসেই ছেড়ে দেন দায়িত্ব।
পরে দেশের মাঠে ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে তাকে আবার আনা হয় পরামর্শক হিসেবে। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে সেই দল তৃতীয় হয়েছিল, তখনও পর্যন্ত যা যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা ফল। এবার ২০২৪ যুব বিশ্বকাপের জন্য দলকে গড়ে তোলার মূল দায়িত্বই তার।
কোচ হিসেবে কাজ করে গেছেন তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও।
বাংলাদেশের দায়িত্বগুলো ছাড়াও নানা সময়ে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের সহকারী কোচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের প্রধান কোচ, আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ, কাউন্টি দল মিডলসেক্সের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।
১৯৯৬ বিশ্বকাপে খেলা এই ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন ১ টেস্ট ও ৫৪ ওয়ানডে। তার প্রজন্মের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন মনে করা হতো তাকে। শেফিল্ড শিল্ড ও কাউন্টিতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আরও বেশি টেস্ট খেলতে পারেননি ওই সময়ের অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা ফাঁকা ছিল না বলে। স্টিভ ওয়াহর চোটের সুযোগে ১৯৯৫ সালে একটি টেস্ট খেলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন, পরে ওয়াহ ফেরায় আবার বাইরে চলে যান। আর সুযোগ পাননি কখনোই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৯ সেঞ্চুরিতে তার রান ২৭ হাজারের বেশি।
ল-এর মতো ওয়াসিম জাফরও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কিংবদন্তি। ৫৭ সেঞ্চুরিতে তার রান প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার। রঞ্জি ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ, সবচেয়ে বেশি রানসহ অনেক রেকর্ডই তার। ২০১৯ সালে তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলে যান আবাহনীর হয়ে। এরপরই বিসিবি তাকে নিয়োগ দেয় উঠতি ক্রিকেটারদের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করার জন্য।
এবারও তার কাজ হবে একইরকম। বিসিবির ব্যাটিং কোচ হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ দল, বাংলাদেশ টাইগার্স, এইচপিসহ নানা জায়গায় কাজে লাগানো হবে ভারতের হয়ে ৩১ টেস্ট খেলা সাবেক ওপেনারকে। খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি পরিচিত ছিলেন শুদ্ধ ব্যাটিং টেকনিক ও অসাধারণ টেম্পারমেন্টের জন্য।