এমনিতে বিসিবি যথেষ্টই স্বয়ংসম্পূর্ণ। আইসিসির কাছ থেকে পাওয়া রাজস্ব, নিজেদের সম্প্রচার সত্ত্ব ও স্পন্সরশিপ থেকে আয়, আরও নানা খাত থেকে মিলিয়ে আয় চোখধাঁধানো। তবে এখনকার বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ব্যয়ের হার গত কিছুদিনে যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে বাধ্য হয়েই খরচের তালিকায় কাঁচি চালাতে হচ্ছে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
“আমরা দেখছি, খরচ অসম্ভব হারে বেড়ে গেছে। দেশের কথা বলছি না, অনেক কিছুরই খরচ বেড়ে গেছে। উদাহরণস্বরুপ আগে যে টিকেট ভাড়া ছিল ৩-৪ লাখ, সেটি এখন হয়ে যাচ্ছে ১০-১১ লাখ। হোটেল ভাড়া যেটা ছিল বড়জোর ২৫০ ডলার, সেটি এখন কমপক্ষে ৪০০-৫০০ ডলার করে লাগছে। তো খরচ একটা বড় ইস্যু।”
“সেজন্য আমরা বলেছি এই খরচ কমিয়ে আনতে হবে। এতদিন আমরা যেভাবে (বিদেশ সফরে) পাঠিয়েছি, বিশেষ করে, কোভিড পরিস্থিতিতে সতর্কতাস্বরুপ অনেক বাড়তি খেলোয়াড়-স্টাফ পাঠিয়েছি। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। এছাড়া যেহেতু এখন বাইরে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না, সেজন্য বোর্ডকে সামগ্রিকভাবে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটা বাজেট কমিয়ে আনতে হবে। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই শুরু।”
নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যয় না বাড়ানোর তাগিদও দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি।
“এছাড়াও আমাদের সবাই এখন যার যার নিজের ডিপার্টমেন্টের নতুন বছরের বাজেট পেশ করবে। তাদেরকে বলা হয়েছে, এবার যেন আগের বাজেটের চেয়ে না বাড়ে। আমাদের নতুন নতুন অনেক কিছু করার কথা ছিল। সেগুলো আপাতত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া ৩-৪ মাসের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে।”