ক্যাটাগরি

ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতাজনিত হামলা বেড়েছে: ব্লিনকেন

‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকা জানায়, বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক (আইআরএফ) প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্লিনকেন এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। দেশটিতে বহু ধর্মবিশ্বাসের মানুষের বাস। আমরা লোকজন এবং উপাসনালয়ের ওপর ক্রমেই হামলা বেড়ে যেতে দেখছি।”

অন্যান্য দেশের মধ্যে ব্লিনকেন ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হওয়া দেশের উদাহরণ দিতে ভিয়েতনাম এবং নাইজেরিয়ার কথাও উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি ২০২১ সালে বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আইআরএফ বিভাগ এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এর নেতৃত্বে ছিলেন আইআরএফ রাষ্ট্রদূত রাশাদ হুসাইন।

এই প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনের চেয়ে আলাদা। ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক দেশের (সিপিসি)’ দেশের তালিকায় রাখতে গত এপ্রিলে টানা তৃতীয় বছরের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছিল কমিশন।

ধর্মীয় স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হওয়া দেশগুলোকে সিপিসি তালিকায় রাখা হয়। বছর শেষে সিপিসি তালিকা প্রকাশ করে থাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তবে ইউএসসিআইআরএফ-এর সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় বাধ্য নয়। গত তিন বছর ভারতকে সিপিসি তালিকায় রাখেনি মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের আইআরএফ বিভাগের দূত রাশাদ হুসাইন বৃহস্পতিবার বলেছেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন যেমনটি বলেছেন, ভারতে লোকজনের ওপর এবং উপাসনালয়ে ক্রমবর্ধমান হামলার ঘটনাকে কিছু কর্মকর্তা আমল দিচ্ছেন না কিংবা এমনকী হামলার ঘাটনাকে সমর্থনও করছেন।”

আইআরএফ প্রতিবেদনে ভারতের বিষয়ে বলা হয়,দেশটিতে গতবছরজুড়ে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু মানুষদের ওপর হামলা হয়েছে, তাদেরকে হত্যা, ভয়ভীতি দেখানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে।

এসব ঘটনার মধ্যে গরু জবাই অথবা গরুর মাংস কেনাবেচার অভিযোগে অ-হিন্দুদের ওপর গো-রক্ষকদের হামলার ঘটনা রয়েছে। ভারতের হিন্দুরা গরুকে পবিত্র বিবেচনা করার কারণে দেশটির বহু রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইন চালু করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এখনও আইআরএফ প্রতিবেদন নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।