তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এক হাসপাতালে। কিন্তু তার মন রয়েছে বাংলাদেশে। বাবা-মায়ের কাছে ফেরার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছে শিশুটি।
কুড়িগ্রামের আইনজীবী, বর্ডার ভিকটিমস রেসকিউ লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক এসএম আব্রাহাম লিংকন জানিয়েছেন সেই খবর।
লিংকন কোচবিহারের সাংবাদিক খাজা মাইনুদ্দিন চিশতির বরাতে বলেন, বাগেরহাটের শরণখোলার উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামে শিশুটির পরিবারের বাস। দালালের সহযোগিতায় ১০-১৫ জনের একটি দলের সদস্য হয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভারতে গিয়েছিল। ভারতের বেঙ্গালুরুতে কাজ করত তার বাবা-মা।
“গত ১৭ মে তারা দালালের সহযোগিতায় দেশে ফিরছিল। পথে বিএসএফের টহলদল তাদের ওপর স্টান গ্রেনেড ছোড়ে। হঠাৎ উচ্চ শব্দে আর আলোর ঝরকানিতে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয় দলটি। ‘স্টান গ্রেনেড’ পড়ে শিশুর গায়ের ওপর। এতে তার পাজরে ও পেটে আঘাত লাগে। লুটিয়ে পড়ে শিশুটি।”
স্টান গ্রেনেড উচ্চ শব্দ ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করে।
লিংকন বলেন, দলের অন্যরা কাঁটাতারের বেড়া টপকে বাংলাদেশে ফিরতে পারলেও ভারতেই থেকে যায় শিশুটি। বিএসএফ তাকে পাঠায় কোচবিহারের দিনহাটা হাসপাতালে। সে সেখানে ভারতীয় পুলিশের হেফাজতে আছে।
“বাবা-মাকে দেখতে না পেয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করছে। সে জানে না তার বাবা-মা কোথায় আছে। মা-বাবাও শিশুটির খোঁজ জানে না।”
সাংবাদিক মাইনুদ্দিনের এক প্রতিবেদন থেকে শিশুটির খোঁজ পান লিংকন।
লিংকন বলেন, তারা শিশুটিকে বাবা-মায়ের কাছে ফেরাতে দুই দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করছেন। তাছাড়া পশ্চিম বঙ্গের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ, ভারতীয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ উভয় দেশের গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।