বিবিসি জানায়, সামরিক ধাঁচের অ্যাসল্ট-রাইফেল এবং হাই ক্যাপাসিটি ম্যাগাজিন রাখা নিষিদ্ধ করা থেকে শুরু করে, ক্রেতার আদ্যপান্ত খতিয়ে দেখার আইন আরও কঠোর করা এবং বন্দুক রাখার নূন্যতম বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের একটি স্কুলে গত সপ্তাহেই প্রাণঘাতী বন্দুক হামলায় ১৯ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া, নিউ ইয়র্ক এর বাফেলো শহর এবং ওকলাহোমার তুলসায়ও গত কয়েকদিনে এমন গুলির ঘটনা ঘটেছে।
আগেও এ ধরনের গুলির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইনে কোনও বদল আসেনি। তৈরি হয়নি অর্থবহ কোনও আইন। তাই প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবার কিছু করার জন্য কংগ্রেসকে তাগাদা দিয়েছেন।
দেশের উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেছেন, “এত বেশি জায়গা ‘মৃত্যুপুরী’ হয়ে উঠছে, এমন আর কত হত্যাকাণ্ড আমরা মেনে নেব?” অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ভোট দিতে বিরত থাকা বন্ধ করার জন্যও রিপাবলিকানদেরকে আহ্বান জানান বাইডেন।
অ্যাসল্ট-রাইফেল নিষিদ্ধ করা না গেলে অস্ত্র যারা কিনছে তাদের বয়সসীমা অন্তত ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অস্ত্র আইন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অচলাবস্থা থাকায় এ বিষয়ে অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
কংগ্রেসে কোনও আইন পাস হতে গেলে সেনেটে রিপাবলিকানদের সমর্থন তাতে লাগবে। আর সেটা সম্ভব নয়। কারণ, রিপাবলিকানরা প্রতিটি আমেরিকানের জন্যই অস্ত্র রাখাটা সাংবিধানিক অধিকার বলেই সমর্থন করে।
রিপাবলিকানদের কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে কঠোর আইন করে বন্দুক নিয়ন্ত্রণের পক্ষে থাকলেও তারা নির্বাচনে তাদের এই সমর্থনের কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে শঙ্কিত থাকতে পারেন বলে বিবিসি-কে জানিয়েছেন এক বিশ্লেষক।