ক্যাটাগরি

ইউক্রেইনে রাশিয়ার যুদ্ধ ১০০ দিনে গড়াল

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিশ্রুতির পর কিইভ মিত্রদের কাছ থেকে আরও অস্ত্র পাওয়ার আশা করছে।

জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার বাহিনীগুলো এখন ইউক্রেইনের প্রায় ২০ শতাংশ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ বাহিনী কৌশলগতভাবে বড় ধরনের জয়ের আশায় লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক নিয়ে গঠিত ইউক্রেইনের শিল্পায়িত অঞ্চল দনবাস দখলের দিকে মনোযোগ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দোনেৎস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো জানিয়েছেন, দোনেৎস্কে তিন বেসামরিক নিহত ও নয় জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই জন কয়লা খনি শহর আভদিইভকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন তিনি। 

ইউক্রেইনের লুহানস্ক অঞ্চলে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সামনে বসে আছেন এক নারী। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেইনের লুহানস্ক অঞ্চলে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সামনে বসে আছেন এক নারী। ছবি: রয়টার্স

গভীর রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তৃতায় জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের দেশের যে এলাকাগুলো সাময়িকভাবে দখল করে নেওয়া হয়েছে সেগুলো এখন পুরোপুরি বিপর্যস্ত অঞ্চল, এর পুরো দায় রাশিয়ার।

“অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে আরও ভালো খবর পাওয়ার আশা করছি আমরা, আরও অনেক বেশি পরিমাণে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সরবরাহ আনতে আমরা কাজ করছি।”

ইউক্রেইনকে নতুন করে আরও ৭০ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব অস্ত্রের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার পাল্লার অত্যাধুনিক রকেট সিস্টেমও থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলেছে, ওয়াশিংটন ‘আগুনে ঘি ঢালছে’।


ইউক্রেইন যুদ্ধ: পশ্চিমাদের ঐক্য টিকবে কতদিন?
 


রাশিয়ার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে: জার্মান অর্থমন্ত্রী
 


ইউক্রেইন ভূখন্ডের ২০% নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
 

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বারবার বলেছে, রাশিয়ার ভূখণ্ডের কোনো লক্ষ্যে আঘাত হানতে ওই রকেট সিস্টেম ব্যবহার করা হবে না, ইউক্রেইন এ নিশ্চয়তা দিয়েছে।

রাশিয়া বলে আসছে, তারা প্রতিবেশী দেশটিকে নিরস্ত্র ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করতে সেখানে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে। অপরদিকে মস্কোর এ দাবিকে যুদ্ধের ভিত্তিহীন অজুহাত বলে বর্ণনা করেছে ইউক্রেইন ও তার মিত্ররা।

শুক্রবার ১০০ দিনে গড়ানো এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে, ইউক্রেইনের বহু শহর ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং দেশটির ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে।