মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেনের সম্ভাব্য
রিয়াদ সফর
নিয়ে গুঞ্জনের
মধ্যে বৃহস্পতিবার
তারা এমবিএস
নামে পরিচিত
যুবরাজের ভূমিকার
এ স্বীকৃতি
দিয়েছে বলে
বার্তা সংস্থা
রয়টার্স জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস
সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যঁ-পিয়ের সাংবাদিকদের
বলেছেন, ইয়েমেনে
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য সৌদি বাদশা সালমান ও
তার ছেলে
কৃতিত্বের দাবিদার।
“ওই অঞ্চলজুড়ে সহযোগিতামূলক
কূটনীতি ছাড়া
এই যুদ্ধবিরতি
সম্ভব হতো
না। যুদ্ধবিরতি সুসংহত
করার সহায়তায় সৌদি বাদশা সালমান ও
ক্রাউন প্রিন্সের
নেতৃত্বের ভূমিকাটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছি আমরা,”
বলেছেন তিনি।
২০১৬ সালের পর
প্রথম চলতি
বছরের ২
এপ্রিল থেকে
ইয়েমেনে দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে
রাজি হয়েছিল
বিবদমান পক্ষগুলো। বৃহস্পতিবার ওই যুদ্ধবিরতির
মেয়াদ শেষ
হওয়ার দিনই
জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দূত
হ্যান্স গ্রান্ডবার্গ
বিরতির মেয়াদ
আরও ২
মাস বাড়ার
খবর দেন
বলে আল
জাজিরা জানায়।
যুদ্ধবিরতির এ মেয়াদবৃদ্ধিতে
সৌদি নেতৃত্বের
প্রশংসায় পঞ্চমুখ
হলেও আগের দিন বুধবার হোয়াইট হাউস বলেছিল,
২০১৮ সালে
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
ও ওয়াশিংটন
পোস্টের সাংবাদিক
জামাল খাশুগজিকে
হত্যা ও
তার লাশ
গুমের ঘটনায়
এমবিএসের ভূমিকা
নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে
গোয়েন্দা সংস্থার
ভাষ্যের কারণে
বাইডেন সৌদি
যুবরাজকে এখনও
‘ব্রাত্যই’ মনে
করেন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের
সৌদি কনস্যুলেটে
খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের
ঘটনা এমবিএসের
‘সংস্কারক’ ভাবমূর্তিতে
কালি লাগিয়ে
দেয়। সৌদি সরকার
অবশ্য প্রথম
থেকেই খাশুগজি
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজ্যের কোনো ধরনের
যোগসাজশের কথা অস্বীকার করে আসছে।
চলতি মাসের শেষদিকে
ইউরোপ ও
ইসরায়েল সফরের
সময় বাইডেন
সৌদি আরব
সফরেরও পরিকল্পনা
করছেন বলে
এ প্রক্রিয়ার
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট
একাধিক সূত্র
রয়টার্সকে জানিয়েছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে
সম্পর্ক জোরদারের
লক্ষ্যে এমন
এক সময়ে
এ সফর
হতে পারে
যখন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির দাম কমানোর উপায়
খোঁজার চেষ্টা
করছেন।
সম্প্রতি তেল উৎপাদক
দেশগুলোর জোট
ওপেক প্লাস
জুলাই ও
অগাস্টে তেল
উৎপাদনের পরিমাণ
বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তও
বাইডেনের সৌদি
আরব সফরের
সম্ভাবনা বাড়িয়েছে
বলে জানিয়েছে
রয়টার্স।
সফরকালে বাইডেনের গালফ কোঅপারেশন
কাউন্সিলের রিয়াদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
ওই কাউন্সিলে সৌদি আরব
ছাড়াও বাহরাইন,
কুয়েত, ওমান,
কাতার ও
সংযুক্ত আরব
আমিরাত আছে।
বাইডেনের রিয়াদ সফরের
বিষয়টি নিশ্চিত
না করলেও
জ্যঁ-পিয়েরে
বলেছেন, “কীভাবে
বিদেশি নেতাদের
সঙ্গে তার
সংযোগ মার্কিন
স্বার্থকে এগিয়ে নেবে সবসময় সেদিকেই
মনোযোগ প্রেসিডেন্টের। এটা সৌদি আরবের
ক্ষেত্রে যেমন
সত্য, তেমনি
অন্যদের ক্ষেত্রেও।”