ক্যাটাগরি

দেশে চা উৎপাদন ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি

আগামী ৪ জুন জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য
জানান।

তিনি বলেন, দেশে উৎপাদিত মোট চা এর মধ্যে
উত্তরাঞ্চলে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ কেজি চা।

চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে
ধরে টিপু মুনশি জানান, উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।

“দেশে ঘরে ঘরে চা এর ব্যবহার বাড়ছে, সে
কারণে চা এর উৎপাদন বাড়লেও সেভাবে আমরা রপ্তানি করতে পাচ্ছি না। চা এর উৎপাদন
বৃদ্ধি করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।“

নতুন ও উন্নত জাত উদ্ভাবনে গবেষণা
বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষকদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতদিন শুধু পাহাড়ি
অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও সিলেটে চা উৎপাদিত হত। এখন দেশের উত্তরাঞ্চলের
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিহাটের সমতল ভূমিতেও চা উৎপাদিত হচ্ছে। এতে অন্য ফসল
চাষে অনুপযোগী জমিগুলোতে চা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে এখন
বৃহৎ চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। আর ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানের সংখ্যা ৮ হাজারেরও বেশি।

১৮৪০ সালে এ অঞ্চলে ব্যক্তি উদ্যোগে চা
উৎপাদন শুরু হয়েছিল। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয় ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়া
চা বাগানে। চা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসেবে চা
বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সে কারণেই ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস হিসাবে
ঘোষণা করা হয়েছে।

কর্মসূচি

আগামী ৪ জুন সকাল ১১টায় ওসমানী
মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের মত জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হবে। এখানে আলোচনা সভার
পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রয় করার ব্যবস্থা থাকবে।

দিনব্যাপী এ চা মেলা দর্শনার্থীদের জন্য
উন্মুক্ত থাকবে। ঢাকার পাশাপাশি চা উৎপাদনকারী অঞ্চলের জেলাগুলোতে র‌্যালি, আলোচনা
সভা ও চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে।