শুক্রবার নগরীর হাউজিং এলাকায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় একটি বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে চার বোনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই চার বোনের বাড়ি উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নে। বড় বোন স্থানীয় মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী, বয়স ১৮ বছর; মেঝ বোন একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্রী, বয়স ১৭ বছর; তার পরের জন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, বয়স ১২ বছর।
সবার ছোট বোনের বয়স সাত বছর। সেও স্থানীয় মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী বলে জানিয়েছে পিবিআই।
ঘটনার বর্ণনায় পরিদর্শক তৌহিদুল বলেন, ওই চার বোন বাবা-মায়ের পারিবারিক কলহ বিবাদে অসহ্য হয়ে গিয়েছিল। এর জেরে গত ২৫ মে মা-বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় তারা। পরে তাদের নানি রাগ ভাঙাতে গিয়ে নাতনিদের সঙ্গে করে তার বাড়ি নিয়ে যান। পরদিন ২৬ মে নানার বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয় চার বোন।
তাদের বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা নানা বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসে করে কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া পৌঁছায়। পরে ওই এলাকার এক অটোরিকশা চালকের সহযোগিতায় একটি বাসা ভাড়া নেয় এবং বড় বোন কুমিল্লা ইপিজেডে একটি গার্মেন্টে চাকরি নেয়।
এর মধ্যে পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করলেও তাদের সন্ধান মিলছিল না। পরে ২৭ মে রাতে ওই মেয়েদের বাবা নাঙ্গলকোট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
বড় বোন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের বাবার সঙ্গে মায়ের প্রতিদিন ঝগড়া হতো। এতে অতিষ্ঠ হয়ে তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়।