শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসার খাট থেকে
শোয়া অবস্থায় আশিকুল হক চৌধুরী পিন্টু (৩১) নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয়
কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় আশিকুলের স্বজনদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ফ্ল্যাটটির
ভাড়াটিয়া সাফিয়া বেগমকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “নিহতের শরীরে কোনও দাগ বা জখম পাওয়া
যায়নি। তার মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।“
ওই নারীই সকালে থানায় এসে আশিকুলের মৃত্যুর খবর
জানায় বলে থানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের কাছে দাবি
করেছেন, মৃত যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
আশিকুল ডেইলি এশিয়ান এইজ পত্রিকার সার্কুলেশন
ম্যানেজার ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং থাকতেন তেজকুনিপাড়া এলাকায়। রাত দুইটার
দিকে তিনি কদমতলীর ওই বাসায় যান।
সাফিয়াকে আসামি করে কদমতলী থানায় হত্যা মামলা
করেছেন নিহতের ভাই আরিফুল হক চৌধুরী।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, কদমতলীর মেডিকেল রোডের
ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন আশিকুলের পূর্ব পরিচিত সাফিয়া বেগম, যারা মাঝেমধ্যে ফোনে কথা
বলতেন।
“বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কৌশলে ওই বাড়িতে যেতে
বাধ্য করেন সাফিয়া। রাত ২টার দিকে আশিকুল ওই বাড়িতে যান। এরপর রাত ৩টা থেকে সকাল পৌনে
৮টার মধ্যে যে কোনো সময় খাবারের সঙ্গে বা অন্য কোনভাবে বিষাক্ত কোনো দ্রব্য খাইয়ে বা
অতিমাত্রায় নেশাজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে আশিকুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।“
থানার এসআই মাহাবুবুল হক বলেন, কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়
আশিকুলের মৃত্যু হতে পারে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। বিষয়টি আরও সুনির্দিষ্ট
হতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া থানার আরেক কর্মকর্তা বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ গিয়ে খাটের ওপর চিৎ হয়ে থাকা অবস্থায় লাশ পায়। ঘটনাস্থল
থেকে কিছু উত্তেজক ওষুধের মোড়ক উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ওষুধ সেবনের পর আশিকুল অসুস্থ
হয়ে পড়েন বলে সাফিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন।