বৃহস্পতিবার বিকালে হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকীবাড়ী মাদ্রাসা মাঠে এ হামলা হয় বলে ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকরা জানান।
‘গুরুতর’ আহত ওই শিক্ষার্থীকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত কিশোর কেতকীবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক শাখার শিক্ষার্থী।
এই শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করেন, নিজেদের মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে বুধবার বিদ্যালয় চলাকালে কয়েকজন যুবক কেতকীবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এ সময় এই শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারধর। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে সবার উপস্থিতিতে বিষয়টির আপস মীমাংসা হয়।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে তার ছেলে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন জয় (২০) ও তার এক বন্ধু। সেই মারধরের ভিডিও ধারণ করেন তাদের আরেক সহযোগী। মারধরে এই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হলে তাকে ওখানে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা।
পরে খবর পেয়ে পবিবার সদস্যরা তাকে উদ্ধার হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
শুক্রবার বিকালে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত শিক্ষার্থী সঙ্গে কথা হয়। তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জয় ও তার এক সহযোগী (১৮) তাকে লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেছেন। সেই মারধরের ভিডিও করেন আরেক সহযোগী (২২)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সে আমার ফুপাতো ভাই হয়। আমার সাথে বেয়াদবি করছে, তাই মারছি। আপনার কিছু জানার থাকলে সরাসরি দেখা করেন।”
একথা বলেই ফোন কেটে দেন।
কেতকীবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় চলাকালে মারধরের ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার মারধর করা হয়। ছেলেটির বাবাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেন, “মারধরের একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। ওই শিক্ষার্থীর পরিবার বা বিদ্যালয় থেকে এখনও জানায়নি। তবে তারা বিষয় আমাদের অবগত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক ধীমান রায় বলেন, “ছেলেটিকে অনেক মারধর করা হয়েছে। শরীরে দাগ রয়েছে। তাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।”
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, “খবর পেয়ে ওই এলাকা ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভিডিও টি দেখেছি। খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”