সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন পড়েছে মাঠেও। ১৩২ রানের পুঁজি নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লিড পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছে তারা।
লর্ডস টেস্টে বৃহস্পতিবার ১৭ উইকেট পতনের নাটকীয় প্রথম দিনে হয়ে গেছে এত কিছু। ৪৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের অপরাজিত ৪২, টিম সাউদির ২৬ আর ট্রেন্ট বোল্টের ১৪ রান নিউ জিল্যান্ডকে নিয়ে যায় ১৩২ রানে। অভিষিক্ত ইংলিশ পেসার ম্যাথু পটস ও অভিজ্ঞ জিমি অ্যান্ডারসন নেন ৪টি করে উইকেট।
ইংল্যান্ড তাদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা করে দারুণ। ১৪ ওভারে ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন জ্যাক ক্রলি ও অ্যালেক্স লিস। কিন্তু এরপর তাদের ব্যাটিংয়েও ধস নামে। ২ উইকেটে ৯২ থেকে চোখের পলকে রান হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১০০! শেষ পর্যন্ত দিন শেষ করে তারা ৭ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে।
নিউ জিল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বোল্ট, সাউদি ও জেমিসন।
দিনের খেলা শেষে জেমিসন বললেন, ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারলেও ম্যাচে টিকে থাকার আশা তাদের ছিল।
“আমরা যখন বোলিংয়ে নামি, জানতাম পরিস্থিতিটা আদর্শ নয়, তবে এটুকু বিশ্বাস ছিল যে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ট সময় আমাদের সামনে আছে। আমাদের মনে হয়েছে, এখনও ভালোভাবেই ম্যাচে টিকে আছি আমরা। ভালো বোলিং করতে হবে, এটা জানতাম। তবে আমাদের ইনিংসে দেখেছি, খুব দ্রুত চিত্র বদলে গেছে। ভালো জায়গায় বল রাখলে অনেক কিছু হতে পারে, সেরকম আশায় তাই ছিলাম।”
“আমাদের মনে হয়েছে, একটি উইকেট নিতে পারলে আরও দুটি নিতে পারব এবং চাপটা ধরে রাখতে পারব। আমরা সেই পরিকল্পনায় অটুট থেকেছি, আমাদের লাইন ও লেংথ ধরে রেখেছি, সেটির কিছু ফলও পেয়েছি, যা ম্যাচে আমাদের ফিরিয়ে এনেছে।”
প্রথম দিনেই ১৭ উইকেট পড়ার মতো ভয়াবহ বোলিং উইকেট কিনা, তা অবশ্য নিশ্চিত নন জেমিসন।
“আমি আসলে খুব একটা নিশ্চিত নই- পিচের ধরন আমি এমনিতেও খুব একটা বুঝি না। আমি ঠিক জানি না, ওখানে কী হচ্ছিল… শুরুতে মনে হয় এমন কিছু হতে পারে, কিন্তু এরকম হয়ে গেল।”
“আমাদের ড্রেসিং রুম এমনিতে শান্তই ছিল, যদিও পরিস্থিতি আমাদের প্রত্যাশামতো ছিল না। লাঞ্চের সময় (৩৯ রানে ৬ উইকেট তখন) আমাদের আলোচনা ছিল, ১৩০ রানের মতো অন্তত করতে হবে। এমনিতে এটা অবশ্যই ভালো স্কোর নয়, তবে আমাদের যে ফর্ম, মনে হয়েছিল যে এই রান করার পর দ্রুত কিছু উইকেট নিতে পারলে আমরা ম্যাচে ফিরতে পারব।”