শনিবার র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
শুক্রবার রতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ইলিয়াস খান জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন কুমারখালির বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার সলেমানের ছেলে মোশারফ হোসেন মশা (২৬), মোকাদ্দেস হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৭), আব্দুল খালেকের ছেলে সামাদ (২৭), আইয়ুব আলীর ছেলে মুহাইমেন হোসেন (২৭), সামেদ আলীর ছেলে হালিম (৪০), আব্দুল খালেকের ছেলে পলাশ (২৩) ও গোপাল শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৪২)।
গত মঙ্গলবার [৩১ মে] দুপুরে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলা নতুন ব্রিজের ওপর হামলা চালিয়ে কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন বিশ্বাসের (৫০) ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে একদল হামলাকারী।
সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস খান বলেন, গত মঙ্গলবার কুমারখালী উপজেলার বাশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে কুষ্টিয়া শহরে ফিরছিলেন ওই কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন। পথে সদর উপজেলার বংশীতলা নতুন ব্রিজের ওপর ধারালো অস্ত্রে উপর্যুপরি আঘাতে ডান হাতের কব্জি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে হামলাকারীরা।
“এই ঘটনায় ওই শিক্ষকের ছেলে নাজমুস সাকিব বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। এই মামলার এজাহারনামীয় সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
কলেজ শিক্ষকের হাত কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন করল দুর্বৃত্তরা
কুষ্টিয়ায় শিক্ষকের হাত কর্তন, মামলায় আসামি ২৬
এ সময় গ্রেপ্তার পলাশের দেহ তল্লাশি করে তিন রাউন্ড গুলিভরতি ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
হামলার শিকার তোফাজ্জেল বিশ্বাস কুমারখালি বাঁশগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং কুমারখালির বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার জালাল বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বিদ্যমান পূর্বশত্রুতার জেরে এই হামলা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় বুধবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় ওই শিক্ষকের ছেলে নাজমুস সাকিব বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।