ব্রাসেলসে
গত শুক্রবার ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ৪-১ গোলে জিতেছে
নেদারল্যান্ডস। জোড়া গোল করেছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড মেমফিস ডিপাই। অন্য দুটি গোল
স্টেভেন বেরহুইয়ান ও ডেনজেল ডামফ্রিসের। বেলজিয়ামের হয়ে শেষের দিকে ব্যবধান কমান
মিচি বাতসুয়াই।
২০তম
মিনিটে বেলজিয়ামের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকুর চোট। চিকিৎসা
নিয়েও আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি দেশটির রেকর্ড গোলস্কোরার।
পুরো
ম্যাচেই প্রাধান্য বিস্তার করে দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লুই ফন খালের দল।
বেলজিয়ামের দুটি প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় পোস্ট আর ক্রসবারে লেগে।
মার্তিনেস
কোচ হওয়ার পর ছয় বছর বাদে দেশের মাটিতে এটি প্রথম হার বেলজিয়ামের। তাদের সবশেষ হার
ছিল স্পেনের বিপক্ষে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে, সেটাই ছিল মার্তিনেস অধ্যায়ে দলটির
প্রথম ম্যাচ।
চলতি
বছরের শেষের দিকে হতে যাওয়া বৈশ্বিক আসরকে সামনে রেখে নেদারল্যান্ডসের কাছে এমন
হার বেলজিয়ামের জন্য চিন্তার উদ্রেক হতেই পারে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম
স্থান থেকে নেমে গেছে তারা। টানা তিন বছর শীর্ষে থাকার পর তাদের হটিয়ে প্রথম
স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। বেলজিয়াম আছে দুইয়ে।
দলের পারফরম্যান্সে
হতাশ হলেও মার্তিনেস
মনে করেন, নিজেদের ঘাটতির জায়গাগুলো বুঝতে এই হার তাদের কাজে লাগবে।
“বিশ্বকাপের
প্রস্তুতির জন্য আমাদের এমন কিছুর দরকার ছিল। এটি খুব কঠিন ফলাফল। তবে এখন এটা
পরিষ্কার যে আমাদের কোন কোন জায়গায় কী কী কাজ করতে হবে।”
“নভেম্বরের আগে বিশ্বকাপ
শুরু হচ্ছে না, তবে জাতীয়
দলের সঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আমাদের হাতে মাত্র ১৭ দিন আছে। আমাদের কী বিষয়ে
কী কাজ দরকার, এখন সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমরা ভালোভাবে শুরু করেছি এবং উন্নতির
জায়গা খুঁজে পেয়েছি।”
চলতি
মাস ও আগামী সেপ্টেম্বর মিলিয়ে নেশন্স লিগে বেলজিয়ামের আর ম্যাচ আছে পাঁচটি।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এই ম্যাচগুলো কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর ৪৮ বছর বয়সী
মার্তিনেস।
“আমাদের
বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য নেশন্স লিগকে ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বকাপের দিকে চোখ
রেখে আমাদের দল গড়তে হবে।”
নেশন্স
লিগে ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপে বেলজিয়ামের অন্য দুই প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড ও ওয়েলস।
বিশ্বকাপে ‘এফ’ গ্রুপে
বেলজিয়ামের তিন প্রতিপক্ষ কানাডা, মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়া।