ক্যাটাগরি

বিএনপির দেউলিয়াত্বই দেখাচ্ছে সংলাপ: হাছান মাহমুদ

শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব
চত্বরে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তার এ মন্তব্য
আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা
হয়।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
বলেন, “বিএনপি যে সমস্ত দলের সাথে মিটিং করছে, এসব দলের বাস্তবে কোনো অস্থিত্ব নাই।
অস্থিত্ববিহীন দলের সাথে মিটিং করে করে তারা একটি সংবাদ পরিবেশন করছে মাত্র। অস্থিত্বহীন
দলের সাথে মিটিংয়ের মাধ্যমে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বটাই প্রকাশ পাচ্ছে।”

সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে
তুলতে গত ২৪ মে থেকে বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। এরই মধ্যে
মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকি নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন, সাইফুল
হকের বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব সংলাপ করেছেন। এছাড়া
২০ দলীয় জোটের বাংলাদেশে লেবার পার্টি ও কল্যাণ পার্টির সঙ্গেও সংলাপ শেষ করেছেন বিএনপি
নেতারা।

আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন,
বিএনপি যেসব দলের সাথে সংলাপ করছে, ওই বৈঠকের পর মানুষ জানতে পারে যে ‘এ ধরনের দলও
দেশে আছে’।

“আপনারা জানেন, দেশে নানা
ধরণের পার্টি আছে। রাতের বেলা মানুষ গুম করেন এমন একটা পার্টি, মরিচের গুঁড়া মারে,
সেটা একটা পার্টি। রাতের বেলা মলম মেখে দেয়, সেটাও একটা পার্টি। সভাপতি থাকলে সেক্রেটারি
নাই, সে ধরনের পার্টিও আছে। নানা ধরনের পার্টির সাথে বিএনপি মিটিং করছে।”   

সরকারবিরোধী আন্দোলনের ‘বৃহৎ
প্ল্যাটফর্ম’ গড়তে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাম ও ডান সব ধরনের রাজনৈতিক
দলের ঐক্যের যে আহ্বান জানিয়েছেন, সে বিষয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “বিএনপি নাকি
ডান-বাম সবার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান-বাম অতিডান অতিবাম
সবার ঐক্য করেছিলেন। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা নির্বাচনও করেছিলেন। ফলাফল
বিএনপির ঘরে মাত্র পাঁচটি আসন।

“সুতরাং এইবার সর্বোচ্চ
সংখ্যক দলের সাথে মিটিং করেও গতবারের চেয়ে বেশি ভালো ফল হবে বলে জনগণ মনে করে না।”

বিএনপি নেতারা সম্প্রতি বাম
গণতান্ত্রিক জোট থেকে বের হওয়া গণসংহতি আন্দোলন ও বিপ্লবী ওর্য়াকার্স পার্টির সাথে
বৈঠক করে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে একমত হওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার পেছনে ‘ষড়যন্ত্র’
দেখছেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র শুরু
হয়েছে, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। যদি তারা আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা
চালায়, তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর হস্তে তাদের আমরা প্রতিহত করব।”

পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারকে
দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন,
“সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের ফোন করে
‘পণ্য মজুদ করো, দাম বাড়াও, দেশে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করো’ বলে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাদের
ঘরানার ব্যবসায়ীরাসহ অন্যান্যরা এই বার্তা পেয়ে উৎসাহিত হচ্ছে।”

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী
মহিলা লীগের সভাপতি দিলোয়ারা ইউসুফের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের
সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনার সঞ্চালনায় এ মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক
শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান,
উত্তর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বাসন্তি প্রভা পালিত, মহিলা আওয়ামী লীগের
নেত্রী সৈয়দা রিফাত আকতার নিশু, রেহেনা ফেরদৌস, রোকসানা নাছরিন, ফাতেমা বেগম বক্তব্য
দেন।