আরাফ ২০১৪ সালে সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি
থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার
এ সাফল্যে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আরাফ বলেন, বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডের একটি
প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া
উপজেলার সুলতানপুরে। তার বাবা কায়েস আহমেদ সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন
সিস্টেম লিমিটেডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মা জেসমিন সুলতানা বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
লিডিং
ইউনিভার্সিটির বোর্ড রুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আরাফকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়।
আরাফ বলেন,
বৃহস্পতিবার নিয়োগের চুক্তিপত্র তার হাতে পৌঁছেছে। শিগগিরই মাইক্রোসফটের আয়ারল্যান্ড
কার্যালয়ে যোগ দেবেন তিনি।
মার্চের
শেষ সপ্তাহে মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে চাকরির জন্য আবেদন করেন জানিয়ে
তিনি বলেন, এরপর অনলাইনে লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে উত্তীর্ণ হলে ৭ এপ্রিল তিন পর্বে নেওয়া
হয় মৌখিক পরীক্ষা।
গত ২৯
এপ্রিল মাইক্রোসফটের প্রকৌশলী পদের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন বলে জানান আরাফ।
অনুষ্ঠানে
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সৈয়দ রাগীব আলী ও উপাচার্য
কাজী আজিজুল মাওলা উপস্থিত ছিলেন।
রাগীব
বলেন, “আরাফের অর্জন অন্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
উপাচার্য
কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, “ইউনিভার্সিটির দূত হিসেবে কাজ করবেন আরাফ। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা এ ধরনের আরও সুযোগ পাবেন বলে আশা করছি।”