বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে শুক্রবার রাতে ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের হয়ে জোড়া গোল করেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড মেমফিস
ডিপাই। তাদের অন্য দুই গোলদাতা স্টেভেন বেরহুইয়ান ও ডেনজেল ডামফ্রিস। শেষ দিকে ব্যবধান
কমান বেলজিয়ামের মিচি বাতসুয়াই।
গত আসরে সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারা বেলজিয়াম
ত্রয়োদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। লেস্টার সিটির ডিফেন্ডার টিমোথি কাস্তাগনের বাঁ
পায়ের শট ক্রসবারে লাগে।
সাত মিনিট পর বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। ডাচ ডিফেন্ডার
নাথান আকের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে যান লুকাকু। চিকিৎসা নিলেও খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি
বেলজিয়ামের রেকর্ড গোলস্কোরার।
শুরু থেকে আক্রমণে আধিপত্য করা নেদারল্যান্ডস এগিয়ে যায়
৪০তম মিনিটে। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের পাস পেয়ে ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে গোলটি
করেন টটেনহ্যাম হটস্পারের ফরোয়ার্ড বেরহুইয়ান।
দুই মিনিট পর হ্যান্ডবলের জন্য সফরকারীদের পেনাল্টি দেন
রেফারি। তবে ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। ডামফ্রিসের শটে ডি-বক্সে বল
বেলজিয়ামের কাস্তাগনের হাতে নয়, মুখে লেগেছিল।
আধিপত্য ধরে রেখে দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান
দ্বিগুণ করে নেদারল্যান্ডস। সতীর্থের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে
গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মেমফিস।
বেনজেমার দুর্দান্ত গোলের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ডেনমার্কের জয়
৬১তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে সফরকারীরা। ডালে ব্লিন্ডের
পাস দূরের পোস্টে পেয়ে জালে পাঠান ডামফ্রিস। তিন মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে
যান মেমফিস। ভার্জিল ফন ডাইকের ক্রসে ব্লিন্ডের হেড পাস ডি-বক্সে দারুণভাবে
নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হাফ ভলিতে জাতীয় দলের হয়ে ৪১তম গোলটি করেন তিনি।
৬৯তম মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনের শট একজনের পায়ে লেগে
লক্ষ্যেই ছিল। এক হাতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান নেদারল্যান্ডস গোলরক্ষক
ইয়াসপের সিলেসেন।
৭৭তম মিনিটে বাতসুয়াইয়ের শট সিলেসেন ঠেকানোর পর ফিরতি
বল জালে পাঠান কাস্তাগন। তবে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। একটু
পর দুরূহ কোণ থেকে ড্রিস মের্টেন্সের শট পোস্টে লাগে।
যোগ করা সময়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন বাতসুয়াই। টবি
আল্ডারভাইরেল্ডের ক্রসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান তিনি।
নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী বুধবার পোল্যান্ডের বিপক্ষে
খেলবে বেলজিয়াম। একই দিন ওয়েলসের মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস।