মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শনিবার মিরপুর প্রমীলা ক্রিকেট
ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডানের জয় ২৬৫ রানে।
৩৩০ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেয় তারা স্রেফ ৬৫ রানে।
১১২ বলে ৯ চারে ১১৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা শারমিন। জাতীয়
দলে তার ওপেনার সঙ্গী শামিমা সুলতানা ৫৬ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় করেন ৫০ রান। তিনে
নেমে ৪১ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন দিশা দিপক।
বল হাতে মোহামেডানের সেরা বোলার সালমা। অভিজ্ঞ অফ স্পিনিং
অলরাউন্ডার ১০ ওভারে ৭ মেডেনে মাত্র ৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
বিকেএসপির এক নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১২২ বলে ১৩৩
রানের উদ্বোধনী জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত করে দেন শামিমা ও শারমিন।
শামিমার বিদায়ে জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে দিশার সঙ্গে ৭৬ বলে
১১৫ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়েন শারমিন। ৫২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা এই ব্যাটার
সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৯৪ বলে।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দিশা ফিফটি পূর্ণ করেন স্রেফ ৩০ বলে। সেঞ্চুরির
সম্ভাবনা জাগিয়ে তিনি ৭১ রানে থামেন স্টাম্পড হয়ে। শারমিন বিদায় নেন রান আউটে। শেষ
দিকে শারমিন আক্তার সোয়ার ৩০ ও সোহেলি আক্তারের ৩২ রানের অপরাজিত দুটি ইনিংসে তিনশ
ছাড়ায় মোহামেডানের সংগ্রহ।
বড় রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় মিরপুর প্রমীলা। এরপর
নিয়মিত উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় তারা। দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল দুই জন- জনি
আক্তার ১৬ ও শারমিন আক্তার করেন ১১ রান।
সালমার তিনটি ছাড়া সোহেলি ১৭ রানে নেন ২ উইকেট। দিশা, সাথিরা জাকির
জেসি, টুম্পা চৌধুরি ও জান্নাতুল ফেরদৌসের প্রাপ্তি একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩৩০/৫ (শামিমা ৫০, শারমিন সুপ্তা ১১৫, দিশা ৭১, শম্পা ৫,
শারমিন সোয়া ৩০*, সাথিরা ০, সোহেলি ৩২*; শারমিন ১০-১-৩৯-১, ইয়াসমিন ১০-০-৬৩-০,
রিফাত ৬-০-৫৭-০, জনি ৪-০-২৯-০, পাপিয়া ১০-০-৮২-২, মৌসুমি ১০-০-৫৫-১)
মিরপুর প্রমীলা ক্রিকেট ক্লাব: ৪৫ ওভারে ৬৫ (পাপিয়া ০, প্রমা ২, অর্পা ১, শারমিন ১১, জোসি ০,
সাদিয়া ৬, জনি ১৬*, মৌসুমি ৬, ঝুমুর ০, ইয়াসমিন ৪, রিফাত ০; সালমা ১০-৭-৬-৩, দিশা
৮-১-১৫-১, সোহেলি ৭-১-১৭-২, সাথিরা ৮-৫-৫-১, টুম্পা ৪-১-৮-১,
জান্নাতুল ৫-১-৯-১, শারমিন সোহা ৩-১-২-০)
ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং
ক্লাব ২৬৫ রানে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: শারমিন আক্তার সুপ্তা
সিটি ক্লাব-ইন্দিরা রোড
অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসে সিটি ক্লাবের জয় নিয়ে ফেরেন অধিনায়ক আরএইচ ঝিলিক
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রকে
সহজেই ৯ উইকেটে হারিয়েছে সিটি ক্লাব।
৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ইন্দিরা রোড ৬ উইকেটে করতে পারে কেবল ৭৮
রান। সিটি ক্লাব সেটি পেরিয়ে যায় ২১.৫ ওভারে।
৬৪ বলে ৮ চারে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা সিটি
ক্লাব অধিনায়ক আরএইচ ঝিলিক।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভার থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় ইন্দিরা
রোড। ৬৯ বলে ৪ চারে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন হালিমাতুল সাদিয়া। আর কেউ যেতে পারেননি
দুই অঙ্কে।
সিটি ক্লাবের হয়ে পারভিন খান ১৭ রানে ও সুরাইয়া চান্দা ২০ রানে নেন
২টি করে উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ঝিলিকের সঙ্গে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভিত করে
দেন জান্নাত ইমান্তা (১৮)। সাদিয়া ইসলামকে নিয়ে বাকিটা সারেন ঝিলিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র:
৪১ ওভারে ৭৮/৬ (হালিমাতুল ৩০, জামিলা ০, নুসরাত ৭, সুমায়া ৮, সাজিদা ৮, আলিফা ৯,
কণা ৫*, পুজা ৫*; সুরাইয়া ৮-৩-২০-২, ফাতেমা
৮-৩-১৪-০, কাকলি ৯-৩-১৪-১, মুর্শিদা ৮-৩-১২-০, পারভিন ৮-৩-১৭-২)
সিটি ক্লাব: ২১.৫ ওভারে ৭৯/১
(জান্নাত ১৮, ঝিলিক ৪৭*, সাদিয়া ৫*; জান্নাতুল ৪-০-১৬-০, পারভিন ৫-২-২৩-০, সাদিয়া
১-০-৭-০, হালিমাতুল ৬-১-৭-১, নুসরাত ৫.৫-০-২৬-০)
ফল: সিটি ক্লাব ৯ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: আরএইচ ঝিলিক
কেরানীগঞ্জ-গুলশান ইয়ুথ
বৃষ্টিবিঘ্নিত আরেক ম্যাচে রিয়া আক্তারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে
কেরানীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমিকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ৩৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে কেরানীগঞ্জ ৭
উইকেটে করে ১৪৩ রান। গুলশান সেটি পেরিয়ে যায় ১৩ বল হাতে রেখে।
বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ৪৬ বলে ৭৩
রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা রিয়া।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবকে জেতান রিয়া আক্তার
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে
কেরানীগঞ্জ। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন সুমি আক্তার ও ইতি।
কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারানোয় দেড়শ পার করতে
পারেনি দলটি।
ইনিংস শুরু করে ১২০ বলে ৫ চারে ৬৮ রান করেন সুমি। ৫২ বলে ৩ চারে ২৮
রান ইতির।
রিয়ার তিনটি ছাড়া খাদিজাতুল কুবরা ২০ রানে নেন ২ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় বলে সুমিয়া আইরিনকে হারানোর পর ৯২ রানের
জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন রিয়া ও নুজহাত তাসনিয়া। এ জুটি ভাঙার পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট
হারালেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রিমি আক্তার (১১*) ও বৃষ্টি দাস (৮*)।
রিয়ার ৪৬ রানের ইনিংসটি গড়া ৩ চার ও এক ছক্কায়। অধিনায়ক নুজহাত ৬৮
বলে ৭ চারে করেন ৪৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কেরানীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমি: ৩৯ ওভারে ১৪৩/৭ (গাজালা ০, সুমি ৬৮, তমালিকা ০, ইতি ২৮, তাহেরা ৭,
জহুরা ৬, ফারজানা ০, ফারিহা তৃষ্ণা ১২*, পিংকি ১*; রিয়া ৮-১-২৫-৩, আনিসা ৮-৩-১৯-০,
কুবরা ৭.১-২-২০-২, মোর্শেদা ৩-০-১৫-০, নুজহাত ২.৫-০-১৯-০, শাহনাজ ৮-০-২৮-০, বৃষ্টি
২-০-১৬-০)
গুলশান ইয়ুথ ক্লাব: ৩৬.৫ ওভারে ১৪৪/৬ (সুমিয়া ০, রিয়া ৪৬, নুজহাত ৪৩, শাহনাজ ২, আনিসা
৩, রিমি ১১*, মোর্শেদা ২, বৃষ্টি ৮*; ফারিহা তৃষ্ণা ৮-২-২৫-১, পিংকি ৪-০-২৮-১,
তৃপ্তি ৪-০-১৬-১, তমালিকা ৮-০-২৫-১, ঝুমুর ৭.৫-২-২২-২, ফারজানা ৩-০-১৯-০, গাজালা
১-০-২-০, তাহেরা ১-০-২-০)
ফল: গুলশান ইয়ুথ ক্লাব ৪
উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: রিয়া আক্তার