আরও একবার দলটির কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন মানিক নিজেই।
জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার আগে দেশের বেশ কয়েকটি শীর্ষ ক্লাবের প্রধান কোচ হিসেবে ছিলেন। ছিলেন জাতীয় দলের দায়িত্বেও।
ইংলিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান কোচ শন লেন গত রোববার হঠাৎ করেই মোহামেডানের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। ২০১৯ সালে এপ্রিল থেকে সাদা-কালোদের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি।
বিদায়বেলায় মোহামেডানের ম্যানেজমেন্টের প্রতি একগাদা অভিযোগ আনেন লেন। এর মধ্যে রয়েছে পরিকল্পনার ঘাটতি, দল নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপ, স্বচ্ছতার কমতির মতো গুরুতর অভিযোগ।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির কারণে লিগে এখন বিরতি চলছে। বিরতির আগে প্রিমিয়ার লিগের ১৫ রাউন্ড শেষ হয়েছে। ২২ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের অবস্থান ষষ্ঠ।
মানিক বলছেন ক্লাবের ‘খারাপ সময়ে’ সাহস করেই দায়িত্বটা নিয়েছেন তিনি।
“যেহেতু ক্লাবের মাননীয় ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আলমগীর ভাই (ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর) অনুরোধ করেছেন এই সময়টাতে দায়িত্ব নিয়ে দলের ভাবমূর্তি ঠিক রাখা যায় কি-না, আমি তার সেই অনুরোধটা রক্ষা করেছি এবং দায়িত্বটা নিয়েছি।”
“ক্লাবের রেজাল্ট তো আসলে ভালো নয়। ছয় নম্বরে আছে। দায়িত্বটা অনেকেই হয়তো নিতে চাইবে না। আমি সাহস করেই নিয়েছি। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং জায়গা। এটা সবারই উপলব্ধি করার ব্যাপার। হঠাৎ করেই যেহেতু ঘটনাটা ঘটেছে (লেনের পদত্যাগ) এবং তারপরেই আমাকে তারা এই দায়িত্বটা দিয়েছে, এজন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ।”
আপাতত চলতি মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য দায়িত্ব নিলেও ক্লাবের সঙ্গে অন্য শর্তেও আলোচনা হয়েছে মানিকের। সে বিষয়ে অবশ্য কিছু পরিষ্কার করেননি তিনি। আপাতত এ মৌসুমের সময়টা পার করতে চান।
গত মৌসুমের শেষ দিকে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হন মানিক। এরপর থেকে কোনো দলের দায়িত্বে ছিলেন না তিনি।
মোহামেডানের দায়িত্ব নিয়ে অবশ্য বড় কোনো লক্ষ্যের কথা বলেননি মানিক। টেবিলে দলের অবস্থানের কথা তুলে ধরে বললেন, যে ধারাবাহিতার মধ্যে ছিল দল, সেটা রক্ষা করাই হবে তার কাজ।
“সবার আগে ক্লাবের সম্মানটা রক্ষা করাই আমার দায়িত্ব। এই দুঃসময়ে দায়িত্ব নিয়ে যাতে দলকে ভালো একটা অবস্থানে রাখা যায়, ক্লাবের হাজার হাজার সমর্থক আছেন, তারা যাতে সন্তুষ্ট হতে পারেন, সেই চেষ্টাই থাকবে।”
“হঠাৎ করে আসলে অন্য কিছু ভাবা সম্ভবও না। আর মোহামেডান এমন কোনো পজিশনে নেই, যেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হওয়া যায়। যে ধারাবাহিকতায় রেজাল্ট আসছিল, সেটা যেন রক্ষা করতে পারি। এই চেষ্টাই থাকবে।”
খেলোয়াড়ি জীবনে মানিক ছিলেন মোহামেডানের ঘরের ছেলে। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টানা খেলেন ক্লাবটিতে। বুট জোড়া তুলে রাখার আগেই মোহামেডানে ট্রেনার হিসেবে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। পরে দুই দফায় ছিলেন ক্লাবটির প্রধান কোচের দায়িত্বে।
২০০৫ সালে প্রথম দফায় মোহামেডানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, ছিলেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১০-১১ মৌসুমে ছিলেন ক্লাটির দায়িত্বে।