রোববার এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি শনিবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে গ্যাসের পাইকারি মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৯ টাকা ৭০ পয়সা, যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে।
পেট্রোবাংলার প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন টিমের প্রাক্কলন হচ্ছে বর্তমান দর থেকে ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ টাকা ৪৭ পয়সা করা।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভোক্তাদের পক্ষে ক্যাব এবং শিল্পদোক্তাদের বিভিন্ন সংগঠন দাম না বাড়াতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে।
চলতি বছরের শুরুতে পেট্রোবাংলা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে তা বিধিসম্মত হয়নি বলে ফেরত পাঠায় বিইআরসি। পরে আবার সংস্থাটির প্রস্তাব পাওয়ার পর গত মার্চের শেষ দিকে গণশুনানি হয়।
পেট্রোবাংলা ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৬৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৩০ পয়সা করতে প্রস্তাব দেয়।
বিইআরসি ফিরিয়ে দেওয়ার পর ফের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা গণশুনানিতে
দাম বাড়ানোর পক্ষে সংস্থাটির যুক্তির মধ্যে রয়েছে- দেশি ও বিদেশি কোম্পানিগুলোর গ্যাস উৎপাদনের ব্যয় বেড়েছে, খরচ বেড়েছে এলএনজি আমদানির। আমদানি ও ভোক্তা উভয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর, উৎসে আয়কর পরিশোধেও ব্যয় বেড়েছে এবং এরসঙ্গে পরিচালন খরচও বেড়েছে।
এছাড়া চলতি অর্থবছরে ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করতে হলে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটারের বিক্রয় মূল্য দাঁড়াবে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা।
এসব কারণেই গ্যাসের দাম ৬৩ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটার ১৫ টাকা ৩০ পয়সা করার প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা।