ক্যাটাগরি

মিরপুরে পুলিশের ধাওয়ায় ৬ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা

শনিবার সকাল ১১টার দিকে মিরপুর ১৩ নম্বরে কয়েকটি পোশাক
কারখানার শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসেন। তাদের দাবি, হয় বেতন বাড়াতে হবে,
নয়তো নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে।

শ্রমিকরা দিনভর মিরপুর ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ এলাকা
দখলে রেখে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় সড়কের ভেতরে কোনো গাড়ি ঢুকে পড়লে তা ফিরিয়ে
দিচ্ছিলেন শ্রমিকরা। অনেক সময় গাড়ির চালকের সঙ্গে তর্কে জড়াতেও দেখা যায়।

সারজ নামে এক পোশাক কারখানার শ্রমিক নাজমা
আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“একটি ডিমের দাম ১৫ টাকা, কিভাবে বাঁচব?

“মালিককে বলেছি বেতন বাড়াতে,
কিন্তু বেতন বাড়াচ্ছে না। তাহলে কী করব আমরা? তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছি।”

এপেক্স, এমবিএম, সারজ, ভিশন,
আইডিএস, কলকা, ঝুকি,
ডিমক্স কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক রাস্তায় নামলে রাস্তার দুপাশে
যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিকাল ৫টার দিকে মিরপুর রপুর ১৩, ১৪ ও ১০ নম্বর গোলচত্বরে শ্রমিকরা আস্তে
আস্তে সড়ক ছেড়ে চলে যায়।

তবে মিরপুর ১১ নম্বরে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার
ঘটনা ঘটে।

কিছু শ্রমিক সড়কে আটকে পড়া গাড়ি ভাংচুর করছিল জানিয়ে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, তারা বিজিবির একটি গাড়ি
ভাংচুর করেছে। পুলিশের দুইটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে, ইনডোর
স্টেডিয়ামেরও ক্ষতি করছিল।

“তখন শ্রমিকদের ধাওয়া দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে
ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ
করে দেয়।”

বৃহস্পতিবারও একই দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল
জানিয়ে কলকা পোশাক কারখানার শ্রমিক ফয়সাল বলেন, “একজন হেলপারের নূন্যতম বেতন ৮ হাজার টাকা, এই টাকায় কি চলা যায়?”