যুক্তরাষ্ট্রের
নিউ ইয়র্কে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মেয়রস মাইগ্র্যান্ট কাউন্সিলে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা জানাতে শনিবার নগর ভবনে আয়োজিত
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রস্তাব
রাখেন।
জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে উপকূলে লবণাক্ততা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙ্গন।
এসব প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ জীবন ও জীবিকার
তাগিদে পাড়ি জমাচ্ছে ঢাকাসহ
বিভিন্ন বড় শহরে। তাতে
শহর অঞ্চলে বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে।
মেয়র
আতিক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদের পুনর্বাসনের
জন্য একটি তহবিল গঠনের
দাবি তিনি মেয়রস মাইগ্র্যান্ট
কাউন্সিলেও জানিয়ে এসেছেন।
অন্তত
দুই হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ প্রতিদিন ঢাকায় আসছে- এমন তথ্য দিয়ে
মেয়র বলেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্য ওই তহবিল
থেকে নগর কর্তৃপক্ষকে অর্থ
বরাদ্দ দিতে হবে।
“এই
মানুষগুলোর থাকার ব্যবস্থা, স্যানিটেশন, তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট কীভাবে করব? জলবায়ু পরিবর্তনের
কারণে ঢাকা শহরেও বিরূপ
প্রভাব পড়েছে। এসব কথা আমরা
জাতিসংঘে বলে এসেছি। আমরা
জাস্টিস চেয়েছি, আমরা ফান্ডিং চেয়েছি।
“আমরা
বলেছি, এক্সেস টু ফান্ডিং দরকার।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সেসব দেশ
ক্ষতিগ্রস্ত, তাদেরকে ৫০ শতাংশ ফান্ড
দিতে হবে।”
সংবাদ
সম্মেলনে মেয়র আতিক বলেন,
বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হলে ঢাকার নাগরিকসেবা
কেমন হতে পারে সেই
অভিজ্ঞতা নিতে নিউ ইয়র্ক
ও ওয়াশিংটনের বিভিন্ন স্থান, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন
করেছেন উত্তর সিটির প্রতিনিধিরা।
মানুষের
কাছে নাগরিক সেবা দ্রুত পৌঁছানো
এবং দুর্ভোগ কমাতে ঢাকা উত্তর সিটি
করপোরেশন যে কমান্ড সেন্টার
করেছে, তার আধুনিকায়নের ওপরও
জোর দেন মেয়র।
তিনি
বলেন, “আমরা দেখেছি, সেখানকার
(নিউ ইয়র্ক) কমান্ড সেন্টারে সরকার, পুলিশ এবং করপোরেশনের প্রতিনিধিরা
থাকেন। তারা সেখান থেকে
মনিটর করছেন- কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে।
আমরাও কমান্ড সেন্টারটি সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।
“যেখান
থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে জলাবদ্ধতার স্পট ট্র্যাকিং, ময়লার
গাড়ি ও মশক কর্মীদের
ট্র্যাকিং, ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ
কম্প্লেইন মনিটরিংসহ, রেভিনিউ মনিটরিং, খাল, ফুটপাত, ফুটওভার
ব্রিজ, এসটিএস, স্মার্ট স্ট্রিট লাইটসহ বিভিন্ন সেন্সর মনিটরিং করা হবে।”
উত্তর
সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ
সিটির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা সংবাদ
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।