রোববার
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগামী বছর থেকে যেহেতু আমরা রোল-আউটে যাচ্ছি,
যদিও ক্লাস এইট যাবে না, তার পরের বছর যাবে, আমার মনে হয়- এই বছর জেএসসি পরীক্ষার সুযোগ
নেই, পরীক্ষা হবে না।”
২০২৩
সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকের
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে।
২০২৪
সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণি এবং ২০২৫ পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম
শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে।
নতুন
শিক্ষাক্রমে পরীক্ষার চাপ কমিয়ে ‘আনন্দময়’ শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা জানিয়েছে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, “অষ্টম শ্রেণি আগামী বছর আমাদের নতুন কারিকুলামে যাচ্ছে না, যাচ্ছে তার পরের
বছর। ২০২৪ সালে এ পরীক্ষাটা থাকবে না। কাজেই ২৩ এ নেবারও কোনো কারণ নাই।
“তাহলে
জেএসসি আমরা এখন থেকে নিচ্ছি না। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে মূল্যায়ন হবে এবং প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন
করলেও আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি।”
২০১০
সালে অষ্টম শ্রেণিতে সমাপনীতে এই পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছিল সরকার, শিক্ষার্থীদের ওপর
পরীক্ষার চাপ বাড়ায় যা নিয়ে সমালোচনা ছিল।
করোনাভাইরাস
মহামারীর কারণে গত দুই বছর এ পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এ
বছরও একইভাবে মূল্যায়ন করা হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “এখন স্কুল পর্যায়ে মূল্যায়ন
যেভাবে হয় সেভাবেই হবে। কিন্তু সনদের একটা বিষয় আছে, স্কুল পর্যায়ের সে মূল্যায়নের
ভিত্তিতেই আমরা সার্টিফিকেট দেব।”