রোববার বেলা ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক (অপরেশন ও মেইনটেন্স) মো. দুলাল মিয়া জানান, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বহনকারী দুটি গাড়িসহ তিনটি গাড়ি নিয়ে বিশেষজ্ঞদল সীতাকুণ্ডে যাচ্ছেন।
“কেমিকেল বিশেষজ্ঞ একজন উপ-পরিচালক ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন।”
তবে সীতাকুণ্ডের ওই কন্টেনাইর ডিপোতে কী ধরনের কেমিকেল রয়েছে সে ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস এখন পর্যন্ত কোনো ধারণা পায়নি বলে জানান দুলাল মিয়া।
চট্টগ্রাম নগরী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কদমরসুল এলাকার বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগে। এরপর রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সবগুলো ইউনিট চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় রাতে সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে অগ্নি নির্বাচক গাড়ি পাঠাতে অনুরোধ করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃতের খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ ও আহত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দুলাল বলেন, ডিপোতে ৫০ হাজারের বেশি কন্টেইনার রয়েছে, যেগুলোতে একের পর এক বিস্ফোরণ হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সময় লাগছে।
“ফায়ার সার্ভিসের মোট ২৫টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। আগুনে ফায়ার সার্ভিসের সাতজনের প্রাণ গেছে, নিখোঁজ রয়েছেন ১৪জন।”
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।”
আরও খবর
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন, বিস্ফোরণ: মৃত্যু বেড়ে ৪১
সীতাকুণ্ডে ডিপোতে বিস্ফোরণ: মৃত্যু বেড়ে ৫