এরা হলেন মিঠু দেওয়ান (৫০) ও নিপন চাকমা। মিঠু দেওয়ানের মরদেহ স্বজনরা শনাক্ত করলেও নিপন চাকমার খোঁজ মেলেনি।
সীতাকুণ্ডে কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগে। সেখানে রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহুদূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে।
এখানে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধশত লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে কয়েকজন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাঙামাটির সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই ঘটনায় আমাদের মারা যাওয়া সদস্যদের পুড়ে যাওয়ার কারণে কারো মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আগুন নেভানোর কাজে মিঠু দেওয়ান ও নিপন চাকমা দায়িত্বরত ছিলেন এবং তাদের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে তারাও রয়েছেন।”
তাদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, হয়তো ডিএনএ পরীক্ষা শেষে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং তারা মারা গেছেন কিনা তাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
নিপন চাকমা
তিনি জানান, মিঠু দেওয়ান ফায়ার সার্ভিস কুমিরা শাখা, আর নিপন চাকমা সীতাকুন্ড শাখায় লিডার হিসেবে কর্মরত। মিঠু দেওয়ান রাঙামাটি জেলা শহরের পশ্চিম ট্রাইবাল এলাকা ও নিপন চাকমা কলেজ গেইট এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, মিঠু দেওয়ানের ভাই টিটু দেওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে খবর দেওয়ার পর রোববার সকালে আমার ছোট ভাই ও খালা চট্টগ্রাম মেডিকেলে গেছেন। ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আমাকে একটি ছবি পাঠিয়েছেন। আমি বলেছি এটাই আমার ভাই। আমার ভাইও তাকে শনাক্ত করতে পেরেছে।”
প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে রাঙামাটি নিয়ে আসা হবে বলে জানান টিটু।
আরও পড়ুন:
সন্তানের মুখ দেখা হলো না ফায়ারম্যান মনিরুজ্জামানের
টি শার্টের লোগো আর মুখের দাড়ি জানাল, লাশটি ফায়ারম্যান রানা মিয়ার
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন, বিস্ফোরণ: মৃত্যু বেড়ে ৪১
সীতাকুণ্ডে ডিপোতে বিস্ফোরণ: মৃত্যু বেড়ে ৫